X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১

ময়মনসিংহে পৃথক হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
২৬ জুলাই ২০১৭, ২০:৩৩আপডেট : ২৬ জুলাই ২০১৭, ২০:৩৩

আইন-আদালত ময়মনসিংহে ফুলপুরের তোফাজ্জল হত্যা মামলায় ‘খালাস’ পাওয়া চারজন এবং নান্দাইলের সাত্তার হত্যা মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ময়মনসিংহের পৃথক দু’টি আদালত। বুধবার (২৬ জুলাই) বিকালে এ রায় ঘোষণা করা হয়।

কোর্ট ইন্সপেক্টর নওজেশ আলী জানান, ময়মনসিংহের জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবির ফুলপুরের তোফাজ্জল হত্যা মামলায় ‘খালাস’ পাওয়া ফুলপুর উপজেলার কালনিকান্দা গ্রামের আব্দুল মোতালেব, আব্দুল হারিজ, চানু ও শহীদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৩ সালের ৭ জুলাই রাত সাড়ে ৮টার দিকে জরুরি কথা আছে বলে ফুলপুর উপজেলার ঘোষগাঁও গ্রামের মো. আব্দুল খালেকের ছেলে তোফাজ্জলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় আসামিরা। কিন্তু এরপর আর তোফাজ্জল বাড়ি ফিরে আসেনি। পরিবারের লোকজন আসামিদের জিজ্ঞাসা করলে তারা ওই রাতেই তোফাজ্জল বাড়ি ফিরে গেছে বলে জানায়। পরে ২৪ জুলাই কালিয়া নদীতে তোফাজ্জলের লাশ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে তোফাজ্জলের বাবা বাদী হয়ে ফুলপুর থানায় পাঁচজনের নামে খুন ও লাশ গুমের মামলা দায়ের করেন। এতে অভিযোগ করা হয় যে, আসামি মোতালেবের বোনের সঙ্গে তোফাজ্জলের সম্পর্কের জেরে আসামিরা তাকে খুনের পর লাশ গুম করে ফেলে। এ মামলায় আসামিদের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ১৯৯৯ সালের ১৬ মে ওই মামলার রায়ে একই আদালতের অতিরিক্ত জেলা  ও দায়রা জজ লায়লা সামলা বানু আসামিদের বেকসুর খালাস দেন। এরপর বাদী ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ক্রিমিনাল রিভিশন দায়ের করলে ২০১৪ সালের ১০ জুলাই রায় পুনঃবিবেচনার জন্য একই আদালতে নথি ফেরত পাঠানো হয়। ইতোমধ্যে ওই মামলার মূল নথিটি বিধি মোতাবেক ধ্বংস হয়ে গেলে মামলাটির নথি পুনর্গঠন করা হয়। এরমধ্যে ফুলপুর উপজেলার কালনিকান্দা গ্রামের মুনসুর আলীর ছেলে আসামি মীর কাশেম মারা যায়। 

রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাডভোকেট সঞ্জীব কুমার ও আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট জহিরুল হক মামলাটি পরিচালনা করেন।

অপরদিকে, ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সাত্তার হত্যা মামলার রায়ে জেলা ও দায়রা জজ বিশেষ আদালতের বিচারক শেখ আব্দুল আহাদ নান্দাইলের হাদিস মিয়া, সিরাজুল ইসলাম, হানিফা ও হাবিবুর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৭ সালের ৭ মে জমি ও পুকুর নিয়ে বিবাদের জেরে নান্দাইল উপজেলার দক্ষিণ কয়রাতি গ্রামের আব্দুস সাত্তারকে আসামিরা কুড়াল, দা ও বল্লম দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করা হলে পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আদালতে সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিচারক চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

/বিএল/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ড্রোন হামলার কথা অস্বীকার করলো ইরান, তদন্ত চলছে
ড্রোন হামলার কথা অস্বীকার করলো ইরান, তদন্ত চলছে
শিল্পী সমিতির নির্বাচন, মিশা-ডিপজলে কুপোকাত কলি-নিপুণ
শিল্পী সমিতির নির্বাচন, মিশা-ডিপজলে কুপোকাত কলি-নিপুণ
ভাগ্নিকে শায়েস্তা করতে নাতিকে হত্যা
ভাগ্নিকে শায়েস্তা করতে নাতিকে হত্যা
৫ বছর বন্ধ সুন্দরবন টেক্সটাইল, সংকটে শ্রমিকরা
৫ বছর বন্ধ সুন্দরবন টেক্সটাইল, সংকটে শ্রমিকরা
সর্বাধিক পঠিত
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া