X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

রাঙামাটির ৬ আশ্রয়কেন্দ্রে এখনও ১৪শ’ মানুষ

জিয়াউল হক, রাঙামাটি
২৭ জুলাই ২০১৭, ০১:০৮আপডেট : ২৭ জুলাই ২০১৭, ০১:০৮

পাহাড় ধস (ছবি- ফোকাস বাংলা) রাঙামাটিতে ভয়াবহ পাহাড় ধসের পর এখনও খোলা রয়েছে ছয়টি আশ্রয়কেন্দ্র। এই কেন্দ্রেগুলোতে এক হাজার চারশ মানুষ অবস্থান নিয়েছে। পুনর্বাসন না হওয়া পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত এসব লোকজনকে এখানেই থাকতে হবে।
রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবু শাহেদ চৌধুরী বলেন, ‘গত ১৩ জুন রাঙামাটিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করে জেলা প্রশাসন দুর্যোগ মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে ছয়টি আশ্রয়কেন্দ্রের ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে নিয়মিত খাবার, পানি ও চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।’

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পাহাড় ধসের পর ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনদের জন্য প্রথমে ১০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছিল। পরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৯টিতে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানেই খোলা হয় এসব আশ্রয়কেন্দ্র। গত ১৩ জুন থেকে এসব আশ্রয় কেন্দ্রে তিন হাজারের বেশি লোক আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু ঈদের পর থেকে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে লোকজনের সংখ্যা কমতে থাকে। এছাড়াও সরকারি অফিস ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেগুলোতে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছিল সেসব প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কার্যক্রম যাতে ব্যাহত না হয়, সেজন্য আশ্রয়কেন্দ্র পরিবর্তন করা হয়। আর লোকজনের সংখ্যা কমে যাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যাও কমে যায়। বর্তমানে ছয়টি আশ্রয়কেন্দ্রে এক হাজার চারশ লোক রয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান বলেন, ‘যতদিন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন না করা পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখা হবে। আশ্রয় নেওয়া লোকজনের জন্য খাদ্য, চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হবে।’ তিনি জানান, আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়া লোকজনের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা মজুদ রয়েছে।

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, ‘জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ প্রশাসন, বিদ্যুৎ বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগসহ সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় দুর্যোগ মোকাবিলা সম্ভব হয়েছে। ঘটনার পর যারা আহত হয়েছিলেন, তাদের চিকিৎসার জন্য ওষুধপত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্তদের বিচ্ছিন্নভাবে সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত জেলা পরিষদ থেকে সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।’

/এসএমএ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদলেন মিতুর মা
আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদলেন মিতুর মা
‘ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’
‘ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’
গরমে স্বস্তির খোঁজে লোকালয়ে ঢুকছে সাপ, সচেতনতার আহ্বান ডিএমপির
গরমে স্বস্তির খোঁজে লোকালয়ে ঢুকছে সাপ, সচেতনতার আহ্বান ডিএমপির
৩ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না কয়েকটি এলাকায়
৩ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না কয়েকটি এলাকায়
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক