সীমান্তের ওপার থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৮১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এরই মধ্যে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড।
বন্যার কারণে গো-খাদ্যের সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। বন্যায় ভেসে গেছে ৫ শতাধিক পুকুরের মাছ। এছাড়া ৪ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ও ১৫ হেক্টর সবজি নষ্ট হয়ে গেছে এতে ১২ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। ৮৯০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। অর্ধশত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পানি প্রবেশ করেছে। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
জেলা প্রাণী সম্পদ অফিস জানায়, ৯ লাখ ৯২ হাজার ৬৫০টি গরু, ৫ হাজার ৫০৫টি মহিষ, ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬০২টি ছাগল, ৮৫ হাজার ৬০৪টি ভেড়া, ২৫ লাখ ১৩ হাজার ৮৩৩ হাঁস, ২৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬৩০টি মোরগ-মুরগি রয়েছে। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানান, পরপর দুই দফা বন্যায় গবাদি পশুর খাদ্য সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শংকর রঞ্জন দাস বলেন, জেলার ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষিদের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন করতে কাজ চলছে। এরপর প্রয়োজন অনুযায়ী সহযোগিতা করা হবে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার প্রত্যেক উপজেলায় ১০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
/এসটি/