যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। জেলার ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ ও মাদারগঞ্জ উপজেলা ছাড়াও মেলান্দহ ও সরিষাবাড়ি উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। সব মিলিয়ে জেলার ৫টি উপজেলার ৩০টি ইউনিয়নের দেড়লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
সোমবার জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নব কুমার চৌধুরী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিকাল ৩টার দিকে বিপদ সীমার ১২৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মেলান্দহ-মাহমুদপুর, ইসলামপুরের আমতলী-শিংভাঙ্গা ও আমতলী-উলিয়া বাজার, মলমগঞ্জ-জারুলতলা, ইসলামপুর-গুঠাইল সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, বন্যার পানি ঢুকে পরায় এ পর্যন্ত ১৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ দান বন্ধ রয়েছে।
বন্যার পানিতে ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় হাজার হাজার পরিবার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও উচুঁ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যা কবলিত এলাকায় শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, জ্বালানি ও গো- খাদ্যের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ‘বিপুল সংখ্যক মানুষ পানিবন্দি হলেও এখনো তাদের খোঁজ নেয়নি স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মো. আবু হানিফ জানান, বন্যায় জেলার ৭ উপজেলার ৫ হাজার ১৮০ হেক্টর জমির রোপা আমন, আমন বীজতলা, সবজি, শশা ও কলা বাগান তলিয়ে গেছে ।
জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক-মো. রাসেল সাবরিন জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা দুর্গত ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় ২০ মেট্রিক টন চাল ও ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর জানান, ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছেন। বন্যাদুর্গতদের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত আছে। তবে কেউ এখনও আশ্রয় কেন্দ্রে আসেনি।
/জেবি/
আর পড়তে পারেন: পানি কমায় হিলিতে পুরোদমে আমদানি-রফতানি শুরু