ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নীলফামারীর ডিমলা, জলঢাকা ও সৈয়দপুর উপজেলার ১৫০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৪৩টি, হাইস্কুল ৬টি ও কলেজ ১টি। বন্যা পরবর্তী তিস্তা পারের মানুষের দিন কাটছে চরম দুর্ভোগে। ছেলে মেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন ওই তিন উপজেলার দুই লক্ষাধিক মানুষ।
আজ বুধবার (১৬ আগস্ট) সকাল ৬টায় বিপদসীমার (৫২ দশমিক ৪০) ৫৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে গত বুধবার (৯ আগস্ট) ভারী বর্ষণ আর উজানের ঢলে নীলফামারী জেলার চারটি উপজেলার নিম্নাঞ্চলসহ সদর, ডিমলা, জলঢাকা ও সৈয়দপুর উপজেলার দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দিলীপ কুমার বণিক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, জেলায় ১৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে পানিবন্দি ৮৫ ও আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত ৫৮টি। আশা করি দুই একদিনের মধ্যে বিদ্যালয়গুলো চালু করা সম্ভব হবে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (মাধ্যমিক পর্যায়ে) শফিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, মাধ্যমিক লেভেলে ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে পানিবন্দি ১টি ও পাঁচটি আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
/এনআই/