জয়পুরহাটের তুলশীগঙ্গা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের প্রায় ২০ ফুট অংশ ভেঙে গেছে। স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকাল থেকে বাঁধটি মেরামত শুরু করেন এলাকাবাসী। তবে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কাজ শেষ হয়নি। বর্তমানে বিপদসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে তুলশীগঙ্গা নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। দীর্ঘদিন থেকে সংস্কার না থাকায় বন্যায় পানির প্রবল চাপে তুলশীগঙ্গা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ব্যাপক ফাটল দেখা দিয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, বুধবার রাতে বাঁধটির বাম তীরে আক্কেলপুর উপজেলার মাদারতলী ঘাট এলাকার ২০ ফুট অংশ ভেঙে যায়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এলাকাবাসী বস্তায় করে মাটি ফেলে ভাঙা অংশ মেরামত শুরু করেন।
জেলা পানি উন্নয়ন বিভাগের সহকারী বিভাগীয় প্রকৌশলী একেএম নজমুল হাসান জানান, তুলশীগঙ্গা নদীর পানি এখনও বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তুলশীগঙ্গা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের আক্কেলপুর এলাকার মাদারতলী ঘাটে ২০ ফুট অংশ ভেঙে গেছে। বাঁধটি মেরামত করা না গেলে আক্কেলপুর উপজেলার অন্তত ১০টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে বৃহস্পতিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন জয়পুরহাট-২ এলাকার সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। তিনি আক্কেলপুর উপজেলার আওয়ালগাড়ী,সোনামূখী,বিহারপুর এবং ক্ষেতলাল উপজেলার আমিরা, মহব্বতপুর, জিয়াপুর ও বিলের ঘাট এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি পানিবন্দি আওয়ালগাড়ীর ২২ পাড়ার ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে নিজস্ব তহবিল থেকে পাঁচ লাখ টাকা বিতরণ করেন।
এছাড়া পাঁচবিবি এলাকায় বানভাসি ২৬৬টি পরিবার ধরঞ্জী ইউনিয়নের গদাইপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে। বন্যায় তাদের বাড়িঘর ডুবে গেছে। সেখানে গত দুদিন ধরে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে সাহায্য সহযোগিতা করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মোকাম্মেল হক বলেন, বৃহস্পতিবার পাঁচবিবির ওই আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে প্রতিটি পরিবারের মাঝে চাল, ডাল ও আলু বিতরণ করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে।
/বিএল/
আরও পড়ুন:
বন্যায় রাজশাহী বিভাগে ৫৬৪ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া বন্ধ