বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে না ওঠা পর্যন্ত বর্তমান সরকার দুর্গত মানুষের পাশে থাকবো বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘বন্যা দুর্গত এলাকায় বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, পুল, কালভার্ট, বাঁধ, মাছ ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পরে অনেকেই এসব এলাকায় এসেছেন। তারা তালি পাওয়ার আশায় ভাষণ দিয়েছেন। কিন্ত তাদের হাত ছিল খালি। সেকারণে দুর্গতরা কিছুই পাননি। আমরা দুর্গত এলাকায় বাহবা কুড়াতে আসিনি। ত্রাণ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছি। বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে না ওঠা পর্যন্ত আমরা এসব দুর্গত মানুষের পাশে থাকবো।’
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে নীলফামারীর সৈয়দপুর স্টেডিয়ামের পাশে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নেতারা দুর্গত হাওরে যাননি। তবে পাহাড়ে গিয়েছিলেন, আর সেখানে নাটক করেও এসেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এত কিছুর পরও যত দোষ সব আওয়ামী লীগের। বিএনপি নেতারা শুধু শুধু আমাদের দোষারোপ করেন। আমরা তো তাদের মতো শূন্য হাতে বন্যাদুর্গত এলাকায় আসিনি। লোক দেখানো ফটোসেশনের জন্যও আসেনি।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ধন্যবাদ। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা দখলকে অবৈধ বলা হলেও তিনি এ ব্যাপারে প্রতিবাদ বা প্রতিক্রিয়া জানাননি। এজন্যই তাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। মৌনতাই সম্মতির লক্ষণ।’
এসময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন- সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবীর নানক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী সতীশ চন্দ্র, সংসদ সদস্য নাজমুল হক, নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক, উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খাঁন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বজলুর রশীদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্বাস আলী সরকার, সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন বাদল প্রমুখ।
পরে মন্ত্রী সৈয়দপুর উপজেলার ৩০০ শতাধিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন।
/এমএ/