শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, ‘যে চক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল, তারা এখন আবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। ইতিমধ্যে ১৯ বার আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছে। ২০০৪ সালে বিএনপি-জামাত জোট গ্রেনেড দিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আল্লাহর রহমতে তিনি প্রাণে বেঁচে গেছেন।’
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বিকালে ঝালকাঠি সাধনার মোড়ে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, ‘১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছিল মূলত দেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করার জন্য, সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্নকে ধূলিস্যাৎ করার জন্য; বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে রাষ্ট্র পরিচালনা থেকে দূরে রাখার জন্য নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার আরও এক কারণ, দেশকে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না দেওয়া। কাদের ইশারায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল, তা পরিষ্কার বোঝা যায় খন্দকার মোশতাকের রাষ্ট্রপতি হওয়া এবং জিয়াউর রহমানের সেনাপ্রধান হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার মধ্য দিয়ে। বিষয়টি আরও পরিষ্কার হয়, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে সরকারি চাকরি দেওয়ার মধ্য দিয়ে।’
তিনি বলেন, ‘সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হল। এরপর দেশের উন্নয়নে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হলে আবারও শুরু হয়ে যায় ষড়যন্ত্র। এর অংশ হিসেবে ২০১৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তিন মাস সারাদেশে খালেদা জিয়ার নির্দেশে জ্বলাও-পোড়াও শুরু হয়; বাসে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করা হয়।’
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়রির পর গত সাড়ে তিন বছরে শেখ হাসিনা যখন নানান প্রকল্প হাতে নিয়ে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করতে যাচ্ছেন, ঠিক তখনই আবারও শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। কিন্তু কেন শেখ হাসিনাকে বার বার হত্যার চেষ্টা করা হয়? কারণ, শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে চান; শেখ হাসিনা ১৬ কোটি মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিতে চান।’
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ আলমের সভাপতিত্বে শোকসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জেলা আওযামী লীগর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. মোবারক হোসেন মল্লিক, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুলতান হোসেন খান, পৌর মেয়র মো. লিয়াকত আলী তালুকদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তরুণ কর্মকার, সদর উপজেলা আওযামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা যুব লীগের যগ্ম-আহ্বায়ক রেজাউল করিম জাকির, মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ইসরাত জাহান সোনালী, যুব মহিলা লীগের সভাপতি লুৎফুন্নার লুনা ও জেলা ছাত্র লীগের সভাপতি মো. শফিকুর রহমান।
/এমএ/
