বরগুনার বেতাগীতে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এতে ধর্ষণের কোনও আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মো. জসিম উদ্দীন। এদিকে, আদালতে ওই শিক্ষিকার দেওয়া জবানবন্দিতে ধর্ষণ চেষ্টার কথা বলা হলেও গণধর্ষণের কথা বলা হয়নি। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার ৬ নম্বর আসামি মো. মেহেদী হাসান রবিউলকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার বিজয় বসাক।
ওই শিক্ষিকার ডাক্তারি পরীক্ষা প্রসঙ্গে বরগুনার সিভিল সার্জন বলেন, ‘শিক্ষিকার হাতে ও গালে নির্যাতনের আলামত পাওয়া গেছে। তবে তাকে ধর্ষণের কোনও আলামত পাওয়া যায়নি। তাকে হয়তো ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়ে থাকতে পারে।’
এদিকে, ওই শিক্ষিকা গত ১৮ আগস্ট বেতাগী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক হাসিবুল হাসানের কাছে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। সেখানে ওই শিক্ষিকা ও তার স্বামী অভিজিৎ রায় ধর্ষণ চেষ্টা এবং নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন। জবানবন্দিতে গণধর্ষণের অভিযোগ করা হয়নি।
অন্যদিকে, ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামিদের গ্রেফতারের বিষয়ে পুলিশ সুপার বিজয় বসাক বলেন, ‘রবিবার (২০ আগস্ট) সকালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মেহেদী হাসান রবিউলকে গ্রেফতার করেছে। মেহেদী বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের মো. সুলতান হোসেনের ছেলে। বাকি আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’ বরিশাল বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আকরাম হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বরগুনার বেতাগীতে স্বামীকে আটকে রেখে শ্রেণিকক্ষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে বেতাগী থানায় মামলা দায়ের করেন ওই শিক্ষিকা। পরদিন শুক্রবারই তাকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
/টিআর/এআর/