নাটোরের সিংড়া উপজেলার আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার ৯৬ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সোমবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুধাংশু শেখর রায়। পানির তীব্র স্রোতের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎ সাব স্টেশন। নতুনভাবে নিমজ্জিত হয়েছে আবাদি জমি। এ পর্যন্ত ৯০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বানভাসিদের জন্য এই উপজেলায় খোলা হয়েছে ১৬টি আশ্রয়কেন্দ্র।
সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমূল আহসান জানান, বন্যার পানির কারণে উপজেলার বিদ্যুৎ সাব স্টেশনটি ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
সিংড়া বিদ্যুৎ সাব স্টেশনের ডিজিএম মিজানুর রহমান জানান, বিদ্যুৎ সাব স্টেশনটির আওতায় মোট ৬০ হাজারের ওপর গ্রাহক রয়েছে। সাব স্টেশনটি রক্ষার জন্য ইতোমধ্যেই স্টেশনটির চারিদিকে প্রায় ১ হাজার বালির বস্তা,টিন ও পলিথিন দিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া সাব স্টেশনটির ভেতরে প্রবেশকৃত পানি সেচের জন্য তিনটি শ্যালোমেশিন সেট করা হয়েছে। দিনের পাশাপাশি রাতে মোট ৮ জন শ্রমিককে সাব স্টেশনটি দেখাশোনার জন্য নিযুক্ত করা হয়েছে।
সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, বন্যার পানির তীব্রতায় ইতোমধ্যেই উপজেলার কলম ইউনিয়নের কালিনগর আর বলিয়াবাড়ি বাঁধ এবং শেরকোল ইউনিয়নের জোড়মলিকা,নওদাপাড়া ও চকনওগাঁ বাঁধ আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এসব বাঁধের বিভিন্ন ছিদ্র দিয়ে পানি প্রবেশ করছে। পাশাপাশি বাঁধগুলোর ওপর দিয়ে পানির তীব্র স্রোত প্রবাহিত হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে বিলের পানির পরিমাণ বাড়ছে। এতে একের পর এক এলাকা প্লাবিত হচ্ছে আর বাড়ছে বানভাসি মানুষের সংখ্যা।
সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমূল আহসান জানান, এ পর্যন্ত মোট ১৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এতে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ৩ হাজার মানুষ। প্রশাসন ও সরকারের পক্ষ থেকে রান্না করা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।
সিংড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন জানান, সর্বশেষ তথ্যমতে উপজেলার মোট ৫৪০০ হেক্টর আবাদি জমি বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। আর আংশিক নিমজ্জিত হয়েছে ৩৩০০ হেক্টর জমি।