ভোলায় গবাদিপশু সুরক্ষা কার্যক্রম চালু হয়েছে। দুর্যোগ প্রবণ উপকুল ভোলার দরিদ্র মানুষের গবাদিপশু নিয়ে আর লোকসান গুনতে হবে না। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বেসরকারি সংস্থা গ্রামীণ জনউন্নয়ন সংস্থা ভেদুরীয়া শাখায় এ কার্যক্রম শুরু হয়। বীমার মাধ্যমে মৃত কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত পশুর পুরো দাম দেবে গ্রামীণ জনউন্নয়ন সংস্থা। তবে এর জন্য তাকে সংস্থার সদস্য হতে হবে। ইতোমধ্যে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় কার্যক্রমটি শুরু হয়েছে। এলাকার প্রায় ১৫টি পরিবারের মধ্যে গবাদিপশু সুরক্ষা বীমা করা হয়েছে।
ওই শাখার কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন জানান, গরু মোটা তাজা করার পদ্ধতির জন্য যারা ঋণ নিয়ে নিজের গরু মোটাতাজা করেন, তারা মোট মুল্যের শতকরা ৫০ পয়সা জমা দিয়ে বীমা করতে হবে। অন্য যারা ঋণ নিয়ে গরু কেনেন, তাদের মোট ঋণের শতকরা দশমিক ৭০ ভাগ জমা দিয়ে বীমা করতে হবে। এর সব দায়-দায়িত্ব থাকে সংস্থার। চিকিৎসাসেবা থেকে শুরু করে দেখভাল করার দায়িত্বও সংস্থা নিয়ে থাকে।
ভেদুরীয়া ইউনিয়নের পশ্চিম চরকালী গ্রামের মেলকার বাড়ির আবদুল বারেক জানান, ‘তিনি তার নিজের চারটি গরুর বীমা করেছেন। বীমা করতে পেরে সে খুশি। পশুরও বীমা হয় এটা ভাবতে যেন তার কাছে অবাক লাগে।
আব্দুল বারেক বলেন, ‘বীমা করার পর গ্রামীণ জনউন্নয়ন সংস্থা থেকে গরুর যেকোনও রোগ বালাইয়ে সব ধরনের চিকিৎসা পেয়ে আসছি বিনামূল্যে।
একই কথা জানালেন ওই ইউনিয়নের মাঝির হাট এলাকার হারুন বেপারি, উত্তর ভেদুরিয়ার হারুন ফরাজি, চরকালী গ্রামের মো. হিরনসসহ অনেবেই।
এ ব্যাপারে গ্রামীণ জনউন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মহিন বলেন, ‘দরিদ্র কৃষকদের একমাত্র সম্পদই হচ্ছে গবাদিপশু। এটা হারালে তার আর কিছুই থাকে না। তাই এদের কথা চিন্তা করে পশুবীমা চালু করা হয়েছে। কৃষক ভাইদের আর তাদের গবাদিপশু নিয়ে ভাবতে হবে না। বীমা করলেই তারা যেকোনও ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগে পশুর ক্ষতি হলে তারা ক্ষতিপুরণ পাবেন।’
পর্যায়ক্রমে সংস্থার প্রতিটি শাখায় এ কার্যক্রম চালু করা হবে বলেও জানান তিনি।