সাতক্ষীরা জজকাের্টের সহকারী জজ হারুন অর রশীদ ও একজন বিবাহ রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) যশোর জুডিসিয়াল আদালতে আরও একটি মামলা হয়েছে। বিয়ের কাবিননামায় জালিয়াতির অভিযোগে যশোরের কেশবপুর উপজেলার মিজানুর রহমানের মেয়ে জবা খাতুন এ মামলা করেছেন। তিনি সহকারী জজের স্ত্রী। বাদী পক্ষের আইনজীবী রোকনুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের (কেশবপুর) বিচারক নুসরাত জাবীন নিম্মী অভিযোগটি গ্রহণ করে কাবিননামার প্রত্যায়িত কপি দাখিল সাপেক্ষ আদেশের দিন ধার্য করেছেন।
আসামিরা হলেন, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরঘোনা গ্রামের আব্দুস সামাদ শেখের ছেলে সাতক্ষীরা জজকাের্টের সহকারী জজ হারুন অর রশীদি ও খুলনা পিটিআই মোড় এলাকার বিবাহ রেজিস্ট্রার হারুনার রশীদ ওরফে হারুন খান।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী রোকনুজ্জামান জানিয়েছেন, কেশবপুরের বুড়ুলিয়া গ্রামের মিজানুর রহমানের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে জবা খাতুনকে গত ১২ ফেব্রুয়ারি হারুন অর রশীদ বিয়ে করেন। বিয়ের কাবিননামায় জবা খাতুনকে প্রথম স্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর সাতক্ষীরায় ভাড়া বাসায় কিছুদিন সংসার করার পর হারুন অর রশীদ স্ত্রী জবাকে নিয়ে জবার বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। ১৭ মার্চ হারুন অর রশীদ সমস্যার কথা বলে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে স্ত্রী জবাকে রেখে চলে যান।
মীমাংসায় ব্যর্থ হয়ে জবা খাতুন যশোর আদালতে প্রতারণা ও যৌতুকের আলাদা দুইটি (১৯ মার্চ ও ২৩ মার্চ ২০১৭) মামলা করেন। এ মামলায় হারুন অর রশীদ আত্মসমর্পণ করে আদালত থেকে জামিন নেন। এ সময় তার কাবিননামা জমা দেওয়া হয় আদালতে। তার সরবরাহকৃত কাবিননামার ২১ নম্বর ঘরে প্রথম স্ত্রীর তালাক হওয়ায় এ বিয়ে হয়েছে বলে উল্লেখ আছে। এদিকে জবা খাতুনের কাছে যে কাবিননামা আছে তাতে এমন কোনও কথা উল্লেখ নেই।
আইনজীবী রোকনুজ্জামান বলেন, কাবিননামার হাতের খেলা দেখে সন্দেহ হওয়ায় রেজিস্ট্রার হারুন খানের সাথে যোগাযোগ করা হয়। চাওয়া হয় কাবিনের নকল কপি। রেজ্রিস্টার হারুন খান কোনও অবস্থায় কাবিননামার নকল সরবরাহ করতে রাজি হননি। বিষয়টি সন্দেহ হওয়ায় জবা খাতুন আদালতে এ মামলা করেছেন।