বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ক্লাসে অনুপস্থিত থাকায় মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আবদুল লতিফের মারধরে বিপ্লব আলম (১২) নামের শিশুশিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে। তাকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গত ২২ আগস্ট নির্যাতনের ওই ঘটনায় সমঝোতার চেষ্টা অব্যাহত থাকায় বুধবার (২৩ আগস্ট) বিকাল পর্যন্ত মামলা হয়নি। এতে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হলে অভিযুক্ত সুপার বলেছেন, ‘ক্লাসে নিয়মিত হতে তাকে শাসন করা হয়েছে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিপ্লব আলম দুপচাঁচিয়া উপজেলার জয়পুরপাড়ার ট্রাক চালক জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। সে উপজেলা সদরের মিফতাহুল কওমি হাফেজিয়া মাদ্রাসার আরবি বিভাগের ছাত্র। আলম গত চার-পাঁচ দিন মাদ্রাসায় যায়নি। গত ২২ আগস্ট সকালে তার বাবা তাকে মাদ্রাসায় রেখে বাসায় ফেরেন। কিছুক্ষণ পর সুপার আবদুল লতিফ তাকে ডেকে বেত দিয়ে মারপিট ও বাহিরে না যেতে নির্দেশ দেন।
রাতে এশার নামাজের সময় ওই শিশু মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়িতে পৌঁছে। রাতেই শিশুটির বাবা আলমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে শিশুটির বাবা ট্রাক চালক জাহাঙ্গীর আলম বুধবার মোবাইল ফোনে জানান, তিনি রংপুরে রয়েছেন। সেখান থেকে ফিরে তার সন্তানকে নির্যাতনকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
এ ব্যাপারে ওই মাদ্রাসার সুপার আবদুল লতিফ বলেন, ‘বিপ্লব আলম নিয়মিত মাদ্রাসায় আসে না। এলেও কাউকে না জানিয়ে চলে যায়। তাই তাকে শাসন করা হয়েছে।’
দুপচাঁচিয়া থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘শিক্ষার্থীকে মারধরের কথা শুনে থানার এসআই আব্দুস সালামকে পাঠিনো হয়েছিল। বিকাল পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’