বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে সিরাজগঞ্জের নলকা সেতুর পশ্চিমে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে বুধবার (২৩ আগস্ট) সন্ধার আগে ফের সওজের জোড়াতালির মেরামত কাজ শুরু হয়েছে। এতে নলকা সেতুর উভয় পাড়ে থেমে থেমে যানজট দেখা দেয়। এর প্রভাব পড়ে আড়াই কিলোমিটার পশ্চিমে হাটিকুমরুল মোড় পর্যন্ত। মোড় থেকে বগুড়া, পাবনা ও নাটোরের দিকের তিনটি মহাসড়কেই আট থেকে ১০ কিলোমিটার জুড়েই যানবাহনে ধীরগতির সৃষ্টি হয়।
রাত সাড়ে ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঢাকা-উত্তরাঞ্চলগামী যানবাহন থেমে থেমে চলতে থাকে। এতে যাত্রীরা পড়েন ভোগান্তিতে। ধীরগতির যান চলাচলের কারণে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা পুলিশকে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে হিমসিম খেতে দেখা যায়।
এদিকে, ঈদের আগে এসব মহাসড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য এরই মধ্যে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা পুলিশ কোরবানির ঈদ উপলক্ষে মোড়ে পাঁচটি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছে।
সিরাজগঞ্জ সওজ বিভাগীয় প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম বুধবার রাতে বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে খানাখন্দ মেরামত কাজে বিঘ্ন ঘটছে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর দ্বিতীয় দফা ডেডলাইনের কারণে আগামী ২৫ আগস্টের মধ্যে সবকয়টি মহাসড়কে খানাখন্দ মেরামত কাজ শেষ করতে হবে। বৃষ্টিতে বুধবার সকালে নলকা সেতুর পশ্চিম পাড়ে কাজ করা সম্ভব হয়নি। তাই বিকালে মাত্র আধাঘণ্টা কাজ হয়। আগামীকালও মেরামত কাজ চলবে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসি মো. আব্দুর কাদের জিলানী বলেন, ‘সওজের ১০ মিনিটের কাজের জন্য মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে তিন থেকে চার ঘণ্টার সমস্যা সৃষ্টি হয়।
বুধবার সন্ধার আগে নলকা সেতুর পশ্চিম পাড়ে মহাসড়কে খানাখন্দ মেরামত কাজের জন্য হাটিকুমরুল মোড়ে রাতে যানবাহনের ধীরগতি থাকলেও যানজট ছিল না।