ময়মনসিংহের হালুযাঘাট উপজেলায় একই পরিবারের তিন জনকে অ্যাসিডে ঝলসে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে এবং বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে তিন জনকে আটক করা হয়। হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মিঞা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
অ্যাসিড দগ্ধরা হলেন- মরিয়ম আক্তার (২১), মহিরন আক্তার (১৪) ও রাসেল কবীর (২৩)। গুরুতর আহত অবস্থায় এই তিন জনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আটককৃত হলেন- মরিয়মের সাবেক স্বামী সোহেল রানা (৩০), সোহেল রানার সহযোগী আল আমিন (২৫) ও অ্যাসিড বিক্রেতা উজ্জল বর্মণ (৪০)।
হালুয়াঘাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর বলেন, ‘পুলিশের ধারণা, ডিভোর্সের দেওয়ার জের ধরে মরিয়ম ও অন্য দুই জনের ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপ করে আটককৃত সোহেল রানা তার সহযোগী আল আমিন।
ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. ডলমন কুমার ধর জানান, মরিয়মের শরীরের শতকরা ১৮ ভাগ, রাসেলের শরীরের ২২ ভাগ ও মহিরনের শরীরের ২ ভাগ পুড়ে গেছে। কেমিক্যাল জাতীয় দাহ্য পদার্থ দিয়ে তাদের ঝলসে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত ২০১৫ সালে হালুয়ঘাট পৌরসভার রঘুনাথপুর এলাকার আব্দুল হাই মেম্বরের ছেলে সোহেল রানার সঙ্গে কালাপাগলা গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে মরিয়মের বিয়ে হয়। সোহেল রানা প্রথম বিয়ের তথ্য গোপন করে মরিয়মকে বিয়ে করায় দাম্পত্য কলহ বাধে। আট মাস আগে মরিয়ম সোহেলকে ডিভোর্স দেয়। এর জের ধরে মঙ্গলবার রাতে বসতঘরের জানালা দিয়ে সোহেল অ্যাসিড ছুড়ে মারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসময় মরিয়ম ও তার দুই ভাই বোন বসতঘরের ভেতর বসে টেলিভিশন দেখছিল।
ওসি কামরুল ইসলাম মিঞা জানান, মরিয়মের বাবা আবুল কালাম বাদী হয়ে বুধবার হালুয়াঘাট থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।