সুনামগঞ্জের ভাটি অঞ্চল থেকে উঠে এসে আধ্যাত্মিকতা ও লোকজ ভাবের যে সুর তিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন দেশব্যাপী, তা আজও আলোড়িত হয়ে চলেছে। মহাজনের ময়ূরপঙ্খী নাওয়ে চড়ে ২০০৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর এ সুরসাধক ভবের সাগরে নাইতে গেছেন, তারপরও এতটুকু কমেনি জনপ্রিয়তা। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা দু’টায় সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার উজানধল গ্রামে ভক্তদের সমাবেশ, দোয়া মাহফিল, খাবার বিতরণ ও বাউলদের জিকিরের মাধ্যমে পালন করা হয়েছে বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী।
বাউলকে স্মরণে মুখে মুখে ফিরেছে তার গান। চলে গিয়েই যেনো আরও বেশি প্রকট হলেন তিনি। সবার চোখে মুখেই যেন ভেসে ওঠে বাউলের সেই রহস্যময় সুরের তান: ‘তোমার ইচ্ছায় চলে গাড়ি, দোষ কেন পড়ে আমার; চলে গাড়ি হাওয়ারই ভারে, আজব কল গাড়ির ভিতরে।’ সেই রহস্য খুঁজতে দূরদূরান্ত থেকে অনেকেই এসেছেন বাউলের সমাধিতে। ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছেন বাংলা গানের অন্যতম এ শিল্পীকে।
মঙ্গলবার বেলা তিনটায় বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ভক্তরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাউল সম্রাটের ছেলে নুর জালাল। ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার উজানধল গ্রামের আলো আর বালু মেখে পৃথিবীতে পা রেখেছিলেন এ সুরস্রষ্টা। ২০০৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর সবাইকে কাঁদিয়ে পরপারে চলে যান তিনি।
কর্মের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি একুশে পদক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননাসহ দেশ বিদেশের অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেছেন।