X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

দিনাজপুরে চালের দাম বাড়ছে

দিনাজপুর প্রতিনিধি
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৫:০৯আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৫:৩০

 

দিনাজপুরে চালের দাম বাড়ছে

দিনাজপুরে গত এক মাসের ব্যবধানে চালের দাম ২ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আর গত এক বছরের ব্যবধানে চালের দাম বেড়েছে প্রায় ১০ থেকে ১৫ টাকা। খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, মিল মালিকরা ইচ্ছে মত চালের দাম বাড়াচ্ছে। তবে চালের দাম বাড়ার মূল কারণ হিসেবে বন্যাকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, সরকারিভাবে দ্রুত পর্যাপ্ত চাল আমদানি করা হলে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

চালের বাজারের হিসেব অনুযায়ী গত বছরে মোটা (গুটি) জাতের চাল বিক্রি হয়েছে ১৪০০ টাকা বস্তা (৫০ কেজি) দরে। একইভাবে পারি জাতের চাল ১৫০০ টাকা বস্তা, আঠাশ জাতের ধান ১৭০০ টাকা বস্তা, কাঠারি জাতের ধান ২৮০০ টাকা বস্তা এবং মিনিকেট জাতের চাল ২০০০ টাকা বস্তা দরে বিক্রি হয়েছে। আর এখন গুটি চাল ২০০০ টাকা বস্তা, পারি ২২০০ টাকা বস্তা, আঠাশ ২৪৫০ টাকা বস্তা, কাঠারি ৩৪০০ টাকা বস্তা এবং মিনিকেট ২৭০০ টাকা বস্তা দরে বিক্রি হচ্ছে। এই হিসেব অনুযায়ী এক বছরের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে চালের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত।

শুধু তাই নয়, গত এক মাসে আগেও মোটা (গুটি) জাতের চাল ২০০ টাকা বস্তা, পারি ২১০০ টাকা বস্তা, আঠাশ ২২৫০ টাকা বস্তা, কাঠারি ৩৩০০ টাকা বস্তা এবং মিনিকেট ২৪৫০ টাকা বস্তা দরে বিক্রি হয়েছে। এ হিসেবে মাত্র এক মাসের ব্যবধানে দিনাজপুরের বাজারে চালের দাম বেড়েছে ২ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত।

চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিল মালিকরা ইচ্ছে মত চালের দাম  বাড়াচ্ছে, যে কারণে চালের বাজার বাড়ছে। 

চাল ব্যবসায়ী বাবু জানান, মিল মালিকদের কাছ থেকে বেশি দামে চাল কিনতে হয় বলে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।

দিনাজপুরে চালের দাম বাড়ছে

চাল ব্যবসায়ী আমজাদ আলী জানান, যদি তারা কম মূল্যে চাল পেতেন তাহলে কমেই বিক্রি করতেন। মিল মালিকরা বলছেন ধানের দাম বেশি তাই চালের দাম বেড়েছে। আর এটা মেনেই তাদের চাল কিনতে হচ্ছে।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, মিল মালিকরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। যার বিরুপ প্রভাব পড়ছে জনগণের ওপর। তাদের অভিযোগ অনেক মিলারই গুদামে বেশি চাল মজুদ করে রেখেছেন। তবে সিন্ডিকেট কিংবা মজুদের বিষয়টি নাকচ করেছেন মিলাররা।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ হাসকিং ও মেজর হাসকিং মিল মালিক সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক সহিদুর রহমান পাটোয়ারি মোহন জানান, ‘বাংলাশের ৭২ শতাংশ চাল আমদানি করা হয় ভারত থেকে। সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বন্যা হয়েছে। যার কারণে সেখানেও চালের দাম বেড়েছে। তাই আমদানিকারকদের বেশি মূল্যে চাল আনতে হচ্ছে। তাছাড়া খুচরা আমদানিকারকরা যে পরিমাণে চাল আনছে তাতে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। সরকার ১৫ লাখ টন চাল আনার ঘোষণা দিয়েছে। কেবল মাত্র ওই চাল আসলেই বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আর তা না হলে আরও এক দফা চালের বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ দিন দিন ভারতেও চালের দাম বাড়ছে।

তিনি আরও জানান, সরকারি আইনে ৬০ দিনের ধান মজুদ করতে পারবে ব্যবসায়ীরা। কিন্তু সেই অনুযায়ী ধান মজুদ নেই। অন্যদিকে তথ্য প্রযুক্তির যুগে সিন্ডিকেট করে ব্যবসা করা কখনোই সম্ভব না।

আরও পড়তে পারেন: কিশোরগঞ্জে দুই বছরের মেয়েকে হত্যার দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড


/জেবি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা