X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

ফলন ভালো হওয়ার পরও পাট নিয়ে বিপাকে নীলফামারীর চাষিরা

নীলফামারী প্রতিনিধি
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১১:৫৭আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১১:৫৭

ফলন ভালো হওয়ার পরও পাট নিয়ে বিপাকে নীলফামারীর চাষিরা নীলফামারীতে চলতি বছর পাটের ফলন ভালো হলেও দাম নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে সরকারের নানা পদক্ষেপ আশার সঞ্চার হলেও গত বছরের চেয়ে পাটের দাম কম হওয়ায় হতাশ পাটচাষিরা। জেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

নীলফামারীর হাট বাজারগুলোতে প্রতি মণ পাট বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায় যা, গত বছরের চেয়ে ৪০০ টাকা কম।

জেলা পাট অধিদফতরের তথ্য মতে, চলতি বছরের নীলফামারীতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েয়েছিল ২৪ হাজার ৮৬০ হেক্টর জমি। এর মধ্যে সদরে দুই হাজার ৪০ একর, ডোমারে ৮ হাজার ১৪০ একর, ডিমলায় ৬ হাজার ২০০ একর, জলঢাকায় ২ হাজার ১৩০ একর, কিশোরগঞ্জে ৪ হাজার ১১০ একর, সৈয়দপুরে ২ হাজার ২৪০ একর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে।

ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের পাটচাষি আকতার আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, চলতি মৌসুমে আড়াই বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পাটের ফলন ও উৎপাদন মোটামুটি ভালো হয়েছে। বিঘা প্রতি ৮ থেকে ১০ মণ পাট উৎপাদন হয়েছে। পাট চাষ করে আশার আলো দেখছিলাম। তবে পাটের দাম (বাজার) ভালো না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছি।

বর্তমানে এ এলাকায় হাট বাজারে প্রতিমণ পাট এক হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার অনেকের পাট কালো ও ময়লা হওয়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা পাটের দাম পর্যন্ত বলছে না।

একই এলাকার পাটচাষি মোহাতার হোসেন বলেন, গত বছর পাটের দাম ভালো থাকায় এ বছর বেশি জমিতে পাট চাষ করেছিলাম। কিন্তু পাট কেটে ঘরে তোলার খরচ পাশাপাশি বিক্রির টাকার সমান সমান। জমি তৈরি, সেচ, সার, কিটনাশক ও নিজের পরিশ্রম পুরোটাই ঘাটতি।

সদরের রামনগর ইউনিয়নের বাহালী পাড়া গ্রামের আইয়ুব আলী জানান, এক বিঘা জমিতে পাট চাষে ৩০০ টাকার বীজ, নিড়ানি ৬০০, পাট কাটা ১ হাজার ৪০০টাকা, সার ৫০০ টাকা, পরিবহন খরচ ১২০০ টাকা এতে বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে চার হাজার টাকা। এ কারণে পাট চাষে চাষিরা পিছু পা হয়েছে। আগামীতে পাট চাষে ধস নামবে।

নীলফামারীর মুখ্য পাট পরিদর্শক বরজাহান আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পাটের দাম বৃদ্ধি এবং পাটের ব্যবহার বাড়ানোর জন্য সরকার উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার নিশ্চিতে ২০১০ সালের আইনের আওতায় ধান চালসহ মোট ১৭টি পণ্যের পাটের বস্তার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘কৃষকরা যাতে ন্যায্য মূল্যে পাট বিক্রি করতে পরে এ জন্য সরকার জেলা পর্যায়ে একটি করে পাট ক্রয় কেন্দ্র (বিজেএমসি) স্থাপনের সিন্ধান্ত নিয়েছে। এটি চালু হলে পাট নিয়ে কৃষকের বিক্রির ভাবনা থাকবেনা।

জেলা শহরের পাট ব্যবসায়ী রনজিৎ কুমার দাস বলেন, ‘এখানে তিনটি গ্রেডে পাট কেনা, বেচা হচ্ছে। যার মধ্যে এসএমআর গ্রেডের পাট এক হাজার ১৮০ টাকা, বি গ্রেডের পাট এক হাজার ২৩০ এবং সি গ্রেডের পাট এক হাজার ৪৭০ টাকা মণ দরে কেনা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি উপজেলায় কমপক্ষে একটি করে (বিজেএমসি) পাট ক্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হলে এসব এলাকায় পাটচাষিরা লাভবান হবেন।’

/এআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ছাত্রলীগের ‘অনুরোধে’ গ্রীষ্মকালীন ছুটি পেছালো রাবি প্রশাসন
ছাত্রলীগের ‘অনুরোধে’ গ্রীষ্মকালীন ছুটি পেছালো রাবি প্রশাসন
সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহত বেড়ে ৯
সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহত বেড়ে ৯
বার্সেলোনার সঙ্গে থাকছেন জাভি!
বার্সেলোনার সঙ্গে থাকছেন জাভি!
চার বছরেও পাল্টায়নি ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি, প্রশ্ন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে
চার বছরেও পাল্টায়নি ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি, প্রশ্ন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
ছয় দিনের সফরে ব্যাংকক গেলেন প্রধানমন্ত্রী
ছয় দিনের সফরে ব্যাংকক গেলেন প্রধানমন্ত্রী