X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাঁধ ভাঙার আশঙ্কায় বাড়ি ছাড়ছে দুইশ’ পরিবার

খুলনা প্রতিনিধি
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০২:১৬আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০২:২৬

কয়রার দশালিয়া এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের একটি অংশ খুলনার কয়রা উপজেলায় বাঁধ ভাঙার আশঙ্কায় দুইটি গ্রামের ২শ’ পরিবার বাড়ি ছাড়তে শুরু করেছে। গ্রাম দুইটি হলো মহারাজপুর ইউনিয়নের দশালিয়া ও দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের মেদের চর। জোয়ারের প্রভাবে ওই দুই গ্রাম সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বাঁধের অর্ধ কিলোমিটার এলাকা ধসে গেছে। বাঁধের অবশিষ্ট অংশ ভেঙে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা প্রবল হয়ে উঠছে। এর ফলে বাঁধ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। দশহালি ও মেদের চরের বাঁধের দুই তৃতীয়াংশ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বাকি অংশ টিকিয়ে রাখতে গ্রামবাসী চেষ্টা চালাচ্ছেন। অপরিকল্পিতভাবে বাঁধের ওপর মাটি দেওয়ায় তা টিকিয়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। বাঁধটি ভেঙে ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছে গ্রামবাসী।

দশালিয়া গ্রামের আকরাম আলী, কামাল গাজী, ছহিল উদ্দীন মোড়ল জানান, নদী ভাঙনের ফলে অনেকে নিঃস্ব হয়েছেন। এখন তারাও নিঃস্ব হওয়ার পথে। দুই কিলোমিটার বাঁধ পরিকল্পিতভাবে রক্ষার দাবি জানান তারা।

মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন লাভলু বলেন, পূর্ণিমায় জোয়ারের প্রভাবে নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে নিচু স্থান উপচে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে মাটি দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাধ উঁচু করার চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু আতঙ্ক কাটছে না। বাঁধের কয়েক স্থান ধসে গেছে। ফলে তা সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থার কারণে বাঁধ ধসে যাওয়ার আশঙ্কায় অধিকাংশ পরিবার মালামাল নিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।

দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিএম কবি শামছুর রহমান জানান, হঠাৎ মেদের চর এলাকার কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধের অধিকাংশ অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে কাজ করা না হলে বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে।

দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘এ এলাকার বড় সমস্যা নদী ভাঙন। বেড়িবাঁধ ভাঙনের কারণে ইউনিয়নের মানুষকে প্রায়ই পানিতে ডুবতে হয়।’

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী অপূর্ব কুমার ভৌমিক জানান, ‘বরাদ্দ না থাকায় পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বরাদ্দ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।’

কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল কুমার সাহা জানান, ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সম্পর্কে এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সংস্কার না হলে বাঁধ ভেঙে দশালিয়া ও মেদেরচর গ্রামসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রাম লোনা পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।’

কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান আ খ ম তমিজ উদ্দিন বলেন, ‘কয়রার প্রধান সমস্যা নদী ভাঙন। তাই পরিকল্পনা মাফিক বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা প্রয়োজন।’

 

/এনআই/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ছুটির দিনে নিউ মার্কেটে জনসমুদ্র
ছুটির দিনে নিউ মার্কেটে জনসমুদ্র
ভারতের নিখিলের হ্যাটট্রিকে ঊষার বড় জয়
ভারতের নিখিলের হ্যাটট্রিকে ঊষার বড় জয়
বাংলাদেশে আইসিটির ভবিষ্যৎ কেন হুমকির মুখে?  
বাংলাদেশে আইসিটির ভবিষ্যৎ কেন হুমকির মুখে?  
মস্কোতে কনসার্টে হামলা: ৯ সন্দেহভাজনকে আটক করলো তাজিকিস্তান
মস্কোতে কনসার্টে হামলা: ৯ সন্দেহভাজনকে আটক করলো তাজিকিস্তান
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
বাড়লো ব্রয়লার মুরগির দাম, কারণ জানেন না কেউ
বাড়লো ব্রয়লার মুরগির দাম, কারণ জানেন না কেউ
‘ভারতের কঠোর অবস্থানের কারণেই পিটার হাস গা ঢাকা দিয়েছেন’
‘ভারতের কঠোর অবস্থানের কারণেই পিটার হাস গা ঢাকা দিয়েছেন’