X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

রংপুরে আ’লীগ নেতা হত্যা মামলায় ২৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

রংপুর প্রতিনিধি
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২১:১২আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২১:১৩

রংপুরে আ’লীগ নেতা হত্যা মামলায় ২৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

রংপুরের কাউনিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা ও মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলায় এ নিয়ে ২৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর)দুপুরে দুই পুলিশ সদস্যের সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হয়েছে। রংপুরের বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকারের আদালতে এ মামলার বিচার চলছে। আগামী ৯ অক্টোবর মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সরকার পক্ষের আইনজীবী বিশেষ পিপি রথিশ চন্দ্র ভৌমিক।

সাক্ষ্য নেওয়ার সময় এ মামলার ১২ জন আসামির মধ্যে ৯ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতে উপস্থিত ৯ আসামিরা হলেন, জঙ্গি মাসুদ রানা, এছাহাক আলী, লিটন মিয়া, আবু সাঈদ, সাখাওয়াত হোসেন জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজিব, সাদাত ওরফে রতন, সরোয়ার হোসেন ওরফে সাবু ও তৌফিকুল ইসলাম।

বিশেষ পিপি রথিশ চন্দ্র ভৌমিক জানান, এ মামলায় জেএমবির ১৪ জন সদস্যের বিরুদ্ধে চার্জসিট দাখিল করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে জঙ্গি বাইক হাসান ও সাদ্দাম হোসেন পুলিশের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে। বাকী ১২ জনের মধ্যে ৯ জঙ্গি গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে কারাগারে আছে। ৩ জঙ্গি এখনও পলাতক রয়েছে। পলাতক জঙ্গির  হলো চান্দু মিয়া, রাজিবুল ইসলাম ওরফে বাদল ও বাবুল আখতার।

অন্যদিকে মামলার সাক্ষীদের আদালতে হাজির করতে ব্যার্থ হওয়ায় বিচারক কাউনিয়া থানার ওসি মামুনুর রশীদকে ভর্ৎসনা করে,আগামী তারিখে সাক্ষীদের আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন।

এসময় আসামিরা আদালতের কাঠ গড়ায় দাঁড়িয়ে বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং কারাগারে তাদের সঙ্গে স্বজনদের দেখা করতে না দেওয়ার ব্যাপারে অভিযোগ করেন।

আসামি জঙ্গি এছাহাক অভিযোগ করে বলেন, ‘রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক অন্য মামলার আসামিরা তাদের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান। কিন্তু আমাদের সঙ্গে বাবা-মা ও স্ত্রীসহ স্বজনরা দেখা করতে আসলে দেখা করতে দেওয়া হয় না।

এ সময় বিচারক বলেন, ‘এর আগেও আপনি একই অভিযোগ করেছেন।’ পরে তিনি কারাবিধি অনুযায়ী তাদের স্বজনদের দেখা করার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কারাকতৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

এর আগে কঠোর পুলিশী পাহারার মধ্য দিয়ে জঙ্গিদের রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে রংপুর আদালতে আনা হয়। পরে বিশেষ নিরাপত্তার মাধ্যমে  হাজত খানার পাশের একটি কক্ষে রাখা হয়। বেল পৌনে ১১টার দিকে তাদের কড়া পুলিশী পাহারার মাধ্যমে রংপুরের বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকারের আদালতে আনা হয়।

উল্লেখ্য ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর তারিখে রংপুরের কাউনিসয়া উপজেলার টেপামধূপুর  এলাকায় রাত ৯টার দিকে বাসায় ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা স্থানীয় মাজারের খাদেম ও আওয়ামী লীগ নেতা রহমত আলীকে জবাই করে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহত রহমত আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে কাউনিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

 আরও পড়তে পারেন: পাটুরিয়া - দৌলতদিয়া রুটে চলন্ত ফেরি থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু

/জেবি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ভারত-পাকিস্তান টেস্ট হবে দারুণ: রোহিত
ভারত-পাকিস্তান টেস্ট হবে দারুণ: রোহিত
জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস আর নেই
জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস আর নেই
পথের পাশের বাহারি শরবতে স্বাস্থ্যঝুঁকি কতটা?
পথের পাশের বাহারি শরবতে স্বাস্থ্যঝুঁকি কতটা?
মন্ত্রণালয়ে সভা করে ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রণালয়ে সভা করে ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ