X
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

‘৩০ টাকা কেজিতে আতপ চাল কেনার চেয়ে রুটি খাওয়া ভালো’

সাইফুল ইসলাম, মৌলভীবাজার
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০১:০৮আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০১:১৩

‘৩০ টাকা কেজিতে আতপ চাল কেনার চেয়ে রুটি খাওয়া ভালো’ ‘এমনিতেই চালের বাজারে আগুন, তার ওপর খোলা বাজারে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে আতপ চাল। এই চাল আমরা খাই না। ‘৩০ টাকা কেজিতে আতপ চাল কেনার চেয়ে রুটি খাওয়া ভালো।’ মৌলভীবাজার জেলা শহরের কোর্ট রোড এলকায় খোলা বাজারের চাল কিনতে এসে এমনটাই বললেন ওই এলাকার বাসিন্দা রহিমা বেগম।

মৌলভীবাজারে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) থেকে ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস) কর্মসূচির আওয়াতায় খোলা বাজারে আতপ চাল বিক্রি হচ্ছে। জেলা শহরের ৫টি পয়েন্টে পাঁচজন ডিলারের মাধ্যমে ৫ টন করে আতপ চাল বিক্রি শুরু হয়। তবে এখানকার সাধারণ মানুষ আতপ চাল খেয়ে অভ্যস্ত নয়। তাই তারা এই চাল কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।

জেলা খাদ্য অফিস সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার পৌর শহরের ৯টি ওয়ার্ডের ৯ জন ডিলারের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে প্রতিদিন পাঁচজন ডিলার ৫ টন চাল খোলা বাজারে বিক্রি করবে। একজন ক্রেতা প্রতিদিন ৩০ টাকা দরে ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন।

তবে সূত্রে জানা গেছে, আপাতত ওমএস’র চাল আগামী মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত চলবে। এরপর খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি (১০ টাকা কেজি দরে চাল) চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মৌলভীবাজার খাদ্য অফিসের কর্মকর্তা মনোজ কান্তি দাশ চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মৌলভীবাজার পৌর শহরের ৯টি ওয়ার্ডে ৯ জন ডিলার রয়েছেন। ৫ জন ডিলারের মাধ্যমে ৯টি ওয়ার্ডে ৩০ টাকা দরে বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রতিদিন ২০ মেট্রিক টন চাল বিক্রি হবে। আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিদিন ৫ জন ডিলারের মাধ্যমে ৯টি ওয়ার্ডে সপ্তাহে ৬ দিন (শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার) ওএমএস’র চাল বিক্রি করা হবে।’

মৌলভীবাজারের খোলা বাজারের আতপ চাল কিনতে ক্রেতাদের আগ্রহ নেই এবং গুণগত মানও ভালো নয় এমন প্রশ্নের জবাবে খাদ্য কর্মকর্তা মনোজ কান্তি দাস চৌধুরী বলেন, ‘আতপ চালতো ভালো। এবার ভালো চাল দিলাম। তবে ক্রেতারা যদি এই চাল কিনতে আগ্রহ না দেখায় তাহলে আগামীতে সিদ্ধ চাল বরাদ্দ দেওয়া হবে।’
মৌলভীবাজার শহরের রগুনন্দনপুর এলাকার ওএমএস ডিলার রাজা আহমদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের মৌলভীবাজারের মানুষ আতপ চালের ভাত খায় না। এগুলো বাইরের এলাকার মানুষ খায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘সোমবার দুপুর ২টা পর্যন্ত ৩৪০ কেজি চাল বিক্রি করেছি। মঙ্গলবার ১ হাজার কেজি চাল বিক্রি করেছি। তবে আতপ চালের প্রতি ক্রেতাদের কোনও আগ্রহ নেই। সিদ্ধ চাল হলে দুই ঘণ্টার মধ্যে ১ হাজার কেজি চাল বিক্রি করা যেত।’

বনবিথী এলাকার রুবেনা বেগম বলেন, ‘চালের বাজারে আগুন। আমরা আতপ চাল খাই না। তবুও কী করবো গরীব মানুষ,খাইতেতো হবেই। এজন্য ৫ কেজি চাল কিনেছি। ’একই কথা জানালেন, রোকেয়া বেগম,মনি বিবি ও আরিফা বেগম।

/এআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ঢাকা ছেড়েছেন কাতারের আমির
ঢাকা ছেড়েছেন কাতারের আমির
জাহাজেই দেশে ফিরবেন এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক
জাহাজেই দেশে ফিরবেন এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক
তাপপ্রবাহের গেটওয়ে যশোর-চুয়াডাঙ্গা
তাপপ্রবাহের গেটওয়ে যশোর-চুয়াডাঙ্গা
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প বাংলাদেশের পর্দায়
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প বাংলাদেশের পর্দায়
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
৭ দফা আবেদন করেও প্রশাসনের সহায়তা পায়নি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট
৭ দফা আবেদন করেও প্রশাসনের সহায়তা পায়নি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট