X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

১১ মাস পর তদন্ত প্রতিবেদন, দাহ্য পদার্থ থেকেই বেনাপোল বন্দরে আগুন লেগেছিল

বেনাপোল প্রতিনিধি
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০৯:০০আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০৯:০৫

আগুনে পুড়ে যাওয়া গুদাম বেনাপোল স্থলবন্দরের গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ১১ মাস পর তদন্ত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ অনুযায়ী, দাহ্য পদার্থ থেকেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক  (ট্রাফিক) রেজাউল করিম বলেন, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এম সাফায়েত হোসেনের নেতৃত্বে  অনুসন্ধান শেষে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

গত বছরের ২ অক্টোবর ভোরে বেনাপোল বন্দরের ২৩ নম্বর গুদামে অগ্নিকাণ্ডে ১৩৭ জন আমদানি কারকের পণ্য পুড়ে ছাই হয়ে যায়। প্রায় ৪ দিন লেগে যায় আগুন পুরোপুরি নেভাতে। এতে কোটি কোটি টাকা লোকসান হয় ব্যবসায়ীদের।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ,অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বন্দর থেকে পণ্য চুরি ও  অব্যবস্থাপনার কথা কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোনও নজরদারি নেই।  বন্দরে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের দাবি জানানো হলেও  গত এক যুগ ধরে তা বাস্তবায়ন হয়নি। বন্দরের কর্মচারীরা অনিয়ম করে এখনও সাধারণ পণ্যাগারে কেমিক্যাল ও দাহ্য পদার্থ নামাচ্ছেন।

আগুনে পুড়ে যাওয়া গুদামে থাকা তুলা বন্দর সূত্রে জানা যায়,১৯৯৬ সালে বন্দরের ১০ নম্বরসহ ১০টি পণ্যাগারে আগুনে পুড়ে ক্ষতি হয় ৩০০ কোটি টাকার পণ্য,২০০১ সালে ২৬ নম্বর পণ্যাগারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতি হয় ৩০ কোটি টাকা,২০০৫ সালে ১০ ও ৩৫ নম্বর পণ্যাগারে আগুনে ক্ষতি হয় ৭০ কোটি টাকা,২০০৯ সালের ১ জানুয়ারিতে ৩৫ নম্বর পণ্যাগারে আগুনে নষ্ট হয় প্রায় ৫০০ কোটি টাকার পণ্য। একই বছরের ২২ জুন ২৭ নম্বর পণ্যাগারে আগুনে ক্ষতি হয় ১৫০ কোটি টাকার। আর সর্বশেষ ২০১৬ সালে ২ অক্টোবরে ২৩ নম্বর পণ্যাগারে আগুনে পুড়ে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় আনুমানিক  ১০০ কোটি টাকা। এছাড়া ছোট খাটো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা অনেকবার ঘটলেও তা ধামা চাপা পড়ে যায়।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান,বন্দরের অব্যবস্থাপনা নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার অভিযোগ দিলেও তেমন কোনও কাজ হয় না।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) রেজাউল  করিম বলেন,কেমিক্যাল ও দাহ্য পদার্থের জন্য আলাদা পণ্যাগার রয়েছে। কিন্তু পণ্যাগারের লোকজন অনিয়ম করে কেন দাহ্য পদার্থ রেখেছিল সে বিষয়েও তদন্ত চলছে। আর আমদানিকারকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কোনও নিয়ম বন্দরের নেই বলেও জানান তিনি।

 

 

/এসটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
প্রতিবন্ধী শিল্পীদের আয়োজনে মঞ্চস্থ হলো ‘সার্কাস সার্কাস’ নাটক
প্রতিবন্ধী শিল্পীদের আয়োজনে মঞ্চস্থ হলো ‘সার্কাস সার্কাস’ নাটক
‘শো মাস্ট গো অন’
চিকিৎসা সুরক্ষা আইন জরুরি‘শো মাস্ট গো অন’
ছাদে আম পাড়তে গিয়ে নিচে পড়ে শিশুর মৃত্যু
ছাদে আম পাড়তে গিয়ে নিচে পড়ে শিশুর মৃত্যু
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!