নীলফামারীতে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এ উপলক্ষে জেলায় ব্যাপক উৎসবের প্রস্তুতি চলছে।
মানুষের মঙ্গল কামনায় অসুরের অপশক্তিকে বিনাশের জন্য (শশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে) আগামী ২৬ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুর্গা দেবী পৃথিবীতে অবস্থান করবেন।
তাই শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে বেশির ভাগ মৃৎ শিল্পীরা এখন প্রতিমার গায়ে রং তুলির আঁচড় দিতে ব্যস্ত।
জেলা সদরের রামনগর ইউনিয়নের বাহালী পড়া কাচাড়ী বাজার পূজা মণ্ডবের মৃৎ শিল্পী সত্যেন্দ্র নাথ জানান, অনেকেই দেশীয় মৃৎ শিল্পীদের পাশাপাশি বিদেশি শিল্পীদের এনে প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন। পূজা মণ্ডবকে আকর্ষনীয় করতে অত্যাধুনিক গেট ও ঝাড়বাতিসহ যাবতীয় কাজ চলছে।
জেলা শহরের বড় বাজার হাড়োয়া সার্বজনীন দুর্গা মণ্ডবের পুরোহিত শ্রী মহেষ চন্দ্র গাঙ্গুলী জানান, এ বছর দেবী নৌকায় আসবেন, ঘোড়ায় করে যাবেন। এতে তাদের ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী ফল হবে শুভ।
এদিকে, বড় বাজার হাড়োয়া দুর্গা মণ্ডব, কালীবাড়ী দুর্গা মন্ডব, শিবমন্দির পূজা মণ্ডব, ডাইল পট্টী দুর্গা মণ্ডব, দেবীর ডাঙ্গা দুর্গা মণ্ডব, কালার ডাঙ্গা, মিলন পল্লী দুর্গা মণ্ডব, কালীতলা দুর্গা মণ্ডব, (১) কালীতলা দুর্গা মণ্ডব (২) বাহালী পাড়া কাচাড়ী বাজার দুর্গা মণ্ডবের মৃৎ শিল্পীরা দিনরাত প্রতিমার গায়ে রং তুলি নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে।
জেলা পুজা উৎযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রমেন্দ্র বর্ধন বাপী বলেন, ‘এ বছর ৮৩৬ পূজা মণ্ডবে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সদরে ২৭৫টি, ডিমলায় ৮০টি, ডোমারে ৯২টি, জলঢাকায় ১৬৫টি, কিশোরগঞ্জে ১৪০টি ও সৈয়দপুর উপজেলায় ৮৪টি পূজা মণ্ডব রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মঙ্গলবার (২১সেপ্টেম্বর) শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।’
জেলা প্রশাসক খালেদ রহীম বলেন, ‘শারদীয় দুর্গাপূজায় সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে এবং পুজা মণ্ডবগুলোতে নিছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।’
জেলা পুলিশ সুপার জাকীর হোসেন খাঁন জানান, জেলার সব পূজা মণ্ডবগুলোর নিরাপত্তায় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।