X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি রংপুরের ওষুধ বিক্রয় প্রতিনিধিদের

রংপুর প্রতিনিধি
১৬ অক্টোবর ২০১৭, ১১:০৩আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০১৭, ১১:২৩

চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি রংপুরের ওষুধ বিক্রয় প্রতিনিধিদের চাকরি স্থায়ীকরণে নির্দিষ্ট নীতিমালা ঘোষণাসহ ১৭ দফা দাবি জানিয়েছে রংপুর বিভাগীয় ওষুধ বিক্রয় প্রতিনিধিরা। রবিবার দুপুরে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে তারা এসব দাবি জানান।

মানববন্ধনের আয়োজন করে ফার্মাসিউটিক্যাল রিপ্রেজেনটেটিভ অ্যাসোসিয়শেনের (ফারিয়া) রংপুর বিভাগীয় কমিটি। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা বেলাল হোসেন, রংপুর বিভাগীয় কমিটির সভাপতি আখতারুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান, রংপুর মহানগর সভাপতি সাইদুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশে ওষুধশিল্প স্বয়ংসম্পূর্ণ। বিশ্বের ১৩৭টি দেশে আমাদের দেশের তৈরি ওষুধ রফতানি হচ্ছে। অল্প সময়ের মধ্যে ওষুধ রফতানি করে বার্ষিক আয় দাঁড়াবে ৪৫ হাজার কোটি টাকা। এ শিল্পে সারাদেশে ওষুধ কোম্পানির মার্কেটিং প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছে প্রায় দুই লাখ ৩০ হাজার শিক্ষিত যুবক। আমরা চরমভাবে অবহেলিত ও নির্যাতিত। আমরা ন্যায্য বেতন পাইনা, সরকারি ছুটি নেই,  কথায় কথায় চাকরি চলে যায় এবং নির্ধারিত কোনও কর্মঘণ্টাও নেই। ওষুধ কোম্পানিগুলো নিজেদের মতো নীতিমালা তৈরি করে আমাদের শোষণ করছে।

তারা আরও বলেন, শুধু তাই নয় কোম্পানির চাপে নির্ধারিত সময়ের বাইরে হাসপাতালগুলোতে ডাক্তারদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে লাঞ্চিত হতে হয়। সে কারণে ১৭ দফা দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি।

দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- মাসিক বেতনের যুক্তিসঙ্গত একটি নুন্যতম সীমা নির্ধারণ, কথায় কথায় চাকরিচ্যুত বন্ধ করা, বাজার দরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে টিএ-ডিএ নির্ধারণ, চাকরি দেওয়ার সময় ব্লাঙ্ক চেক ও মূল শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট জমা নেওয়া বন্ধ করা।

বক্তারা বলেন, অবিলম্বে দাবি না মানা হলে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এদিকে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করতে বাধা দেওয়ায় রংপুর বিভাগের আট জেলায় রেনেটা কোম্পানির সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন:
কর্মকর্তারা পান উপহার, টাকার বিনিময়ে মেলে ইলিশ শিকারের অনুমতি!
‘টিফিনের সময় পেট ভইরা কলের পানি খাই’

/এসএনএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
শেষ ম্যাচে জিতে সুপার লিগে গাজী গ্রুপ
শেষ ম্যাচে জিতে সুপার লিগে গাজী গ্রুপ
কারাগার এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী
কারাগার এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী
তিন নম্বরে থেকে সুপার লিগে মোহামেডান
তিন নম্বরে থেকে সুপার লিগে মোহামেডান
মুখ থুবড়ে পড়েছে ইউক্রেনের অস্ত্র খাত
মুখ থুবড়ে পড়েছে ইউক্রেনের অস্ত্র খাত
সর্বাধিক পঠিত
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?