X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাতে স্কুলে ঢুকে টেস্ট পরীক্ষার খাতায় লিখে সাজা পেলো তিন শিক্ষার্থী

মাদারীপুর প্রতিনিধি
১৬ অক্টোবর ২০১৭, ২০:০০আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০১৭, ২০:০৪

স্থানীয় লোকজন ও শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মাদারীপুরের সরকারি ইউনাইটেড ইসলামিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও এক সহকারী শিক্ষকের ছেলেসহ তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে  টেস্ট পরীক্ষার খাতায় পরীক্ষা শেষে পুনরায় লেখার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১৫ অক্টোবর) রাতে বিদ্যালয়ে ঢুকে তারা এ কাজ করতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন ও শিক্ষার্থীরা ঘটনার বিচার দাবি করে সোমবার (১৬ অক্টোবর) স্কুল জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছে।

রবিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ‘বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়’ বিষয়ে এসএসসি টেস্ট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ছুটি নিয়ে ওই দিন বরিশালে ছিলাম। বিদ্যালয়ের চাবি ছিল সহকারী শিক্ষক কবিতা রাণী মালোর কাছে।  সোমবার (১৬ অক্টোবর)বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছি। শিক্ষকদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের রবিবারের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে এবং আজকের (সোমবার) পরীক্ষায়ও অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে অভ্র’র রোল নম্বর ১, আমার ছেলে জায়েদের ৩ এবং অন্য শিক্ষার্থী শাকিলের রোল নম্বর ৬। তারা ক্লাসের ভালো ছাত্র এবং কোমলমতি শিশু এই বিবেচনায় পরবর্তী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। কঠোর ব্যবস্থা নিলে তাদের শিক্ষাজীবন ধ্বংস হয়ে যাবে।’

স্থানীয় মুন্না, জাহিদুল ইসলাম, রাশেদুল ইসলামসহ একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির একাধিক শিক্ষার্থী জানান, রাতে স্কুলের মধ্যে আলো দেখে স্থানীয় কয়েকজন ছেলে এগিয়ে গেলে বিষয়টি টের পায়। তখন তারা প্রমাণ হিসেবে ঘটনার ভিডিও করে রাখে।

তারা বলেন, লাইব্রেরি কক্ষের চাবি থাকার কথা প্রধান শিক্ষকের কাছে। কিন্তু বিদ্যালয়ের মূলভবনের দরজার চাবি ছিল সহকারী শিক্ষক কবিতা রাণী মালোর কাছে। তার ছেলে অভ্র মালো বাসা থেকে চাবি নিয়ে তার বন্ধু একই শ্রেণির ছাত্র শাকিল ও প্রধান শিক্ষক নূরুল ইসলামের ছেলে জায়েদকে নিয়ে সন্ধ্যার পর বিদ্যালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়ে। রাতে নিরাপত্তা প্রহরী ছিল সানাউল হক। তিনি  প্রধান শিক্ষকের চাচাতো ভাই অর্থাৎ জায়েদের চাচা। প্রধান শিক্ষক ও এক শিক্ষিকার ছেলে হওয়ায় তাদের চাপের মুখে ভেতরে ঢুকতে দেয় ওই নিরাপত্তা প্রহরী।

তারা জানান, পরে ওই তিন শিক্ষার্থী ভেতরে ঢুকে খাতায় লিখতে শুরু করলে স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে তাদের চ্যালেঞ্জ করে বসে এবং আটকে রাখে। খবর পেয়ে বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকরা সেখানে গিয়ে উপস্থিত হয় এবং ওই শিক্ষার্থীদের স্কুল থেকে বের করে দেয়।

মাদারীপুর ইউনাইটেড ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কবিতা রাণী মালো বলেন, ‘আমার কাছে যে চাবি ছিল, তা ঘরে রেখেছিলাম। আমার ছেলে চুরি করে চাবি নিয়ে স্কুলে ঢুকে পড়ে।’

বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ওয়াহিদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি ঢাকাতে প্রশিক্ষণে আছি। এখনও বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমাকে কেউ জানায়নি। এই ধরনের ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ’

 

/এনআই/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ইউক্রেনের অন্তত ৭টি প্যাট্রিয়ট সিস্টেম প্রয়োজন: ন্যাটোকে জেলেনস্কি
ইউক্রেনের অন্তত ৭টি প্যাট্রিয়ট সিস্টেম প্রয়োজন: ন্যাটোকে জেলেনস্কি
শিশু হাসপাতালে তিন দিনের ব্যবধানে দুবার আগুন!
শিশু হাসপাতালে তিন দিনের ব্যবধানে দুবার আগুন!
ব্যাংককে চীনের দাবাড়ুকে হারালেন মনন
ব্যাংককে চীনের দাবাড়ুকে হারালেন মনন
ব্যয়বহুল প্রযুক্তি আর ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধের এখনই সময়
এনার্জি মাস্টার প্ল্যান সংশোধনের দাবিব্যয়বহুল প্রযুক্তি আর ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধের এখনই সময়
সর্বাধিক পঠিত
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান