X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

বৃষ্টি ও জোয়ারে পানিবন্দি ৫০ হাজার মানুষ

নোয়াখালী প্রতিনিধি
২১ অক্টোবর ২০১৭, ২২:৪৬আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০১৭, ২২:৫৯

তলিয়ে যাওয়া বাড়িঘর (ছবি- প্রতিনিধি)

টানা বৃষ্টির কারণে এমনিতেই গত বৃহস্পতিবার থেকে দুর্ভোগের মধ্যে ছিলেন নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। এর মধ্যে শুক্রবার রাত থেকে জোয়ার দেখা দেওয়ায় তাদের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে শনিবার বিকাল পর্যন্ত জেলার দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া ও কোম্পানীগঞ্জের পাঁচটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন উপজেলা দু'টির ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। ভেসে গেছে অনেকের বসতঘর, ফসলি জমি ও মাছের ঘের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নে ধমকা হাওয়ায় ৩০-৩৫টি বসতঘর তছনছ হয়েছে। উপড়ে পড়েছে বিভিন্ন জাতের প্রায় ৪০০-৫০০টি গাছ। এছাড়া জলমগ্ন হয়ে পড়েছে নোয়াখালী পৌর শহরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ২৬৩ মিলিমিটার।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শনিবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টিপাত হয়েছে। আজ (শনিবার) দুপুরে উপজেলার চরঈশ্বর, তমরদ্দি ও নলচিরা ইউনিয়নের কয়েকটি বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ে। এছাড়া ওইসব বেড়িবাঁধের বিভিন্ন অংশে নতুন করে ভাঙন দেখা দেয়। এতে ইউনিয়ন তিনটির হাজারও মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। ফসলি জমির আমন ধান পানিতে ডুবে যায়। তবে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিসংখ্যান এখনও সঠিকভাবে জানা যায়নি।

প্লাবিত রাস্তাঘাট (ছবি- প্রতিনিধি)

এদিকে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জামিলুর রহমান জানান, শুক্রবার শেষ রাত থেকে হঠাৎ জোয়ার দেখা দেয়। এতে জোয়ারের পানিতে কয়েকটি বেড়িবাঁধ ভেঙে উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের বেশিরভাগ ও চরফকিরা ইউনিয়নের আংশিক প্লাবিত হয়। এতে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন এবং আমন ধানের জমি তলিয়ে যায়।

উপজেলার চরএলাহি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘গত ২০ বছরে এমন ভয়াবহ জোয়ার দেখা দেয়নি। জোয়ারে আমার ইউনিয়নের প্রায় সবক’টি গ্রামেই পানি ঢুকে পড়েছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। কয়েকশ’ মৎস্য ঘের ভেসে গেছে। এছাড়া আমন ধানের ক্ষেতে পানি ছাড়া কোনও ফসলই দেখা যাচ্ছে না।’

সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন বাবলু জানান, আজ (শনিবার) ভোরের দিকে বৃষ্টির পাশাপাশি ধমকা হাওয়া দেখা দেয়। এতে ইউনিয়নের দক্ষিণ নাজিরপুর গ্রামের আংশিক ও পূর্ব অশ্বদিয়া গ্রামের প্রায় ৩৫-৪০টি বসতঘর তছনছ হয়ে গেছে। এছাড়া বিভিন্ন জাতের অন্তত ৫০০টি গাছ উপড়ে পড়েছে। জমির আমন ধান পানিতে শুয়ে গেছে।

হাঁটু পরিমাণ পানি ভেঙে চলাচল (ছবি- প্রতিনিধি)

এদিকে, টানা বর্ষণের প্রভাবে নোয়াখালী পৌরশহর মাইজদী, বেগমগঞ্জ, সেনবাগ, সদর ও কবিরহাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এতে জনজীবনে দেখা দিয়েছে দুর্ভোগ। ব্যবসা-বাণিজ্যে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। এসব উপজেলার আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে বলে জানান বাসিন্দারা।

জেলা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক আসাদুজ্জামান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে এ বৃষ্টি আরও একদিন স্থায়ী হতে পারে।

 

/এমএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে
শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে
দেয়ালের দেশ: মন খারাপ করা সিনেমা
সিনেমা সমালোচনাদেয়ালের দেশ: মন খারাপ করা সিনেমা
দুবাই হয়ে ট্রানজিট ফ্লাইট স্থগিত করলো এমিরেটস
দুবাই হয়ে ট্রানজিট ফ্লাইট স্থগিত করলো এমিরেটস
ঢাকা শিশু হাসপাতালে আগুন
ঢাকা শিশু হাসপাতালে আগুন
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ