প্রতি বছর পাহাড়ি কন্যা বান্দরবানে লাখ লাখ পর্যটক আসেন। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাই সেখানে পর্যটকদের বরণ করে নিতে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। এখন চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ মৌসুমে বান্দরবানে পর্যটকদের নজর কাড়বে থানচির জীবন নগরের নীল দিগন্ত। আর পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য গ্রহণ করা হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থাও।
বান্দরবান হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সেক্রেটারি মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা গত দু’বছর ধরে নানা সমস্যার ভুগছি। ফলে ব্যবসায় লোকসান গুনতে হচ্ছে। আশা করছি এবার লোকসান কিছুটা সামলে নিতে পারবো। ইতোমধ্যে আমরা হোটেলগুলোকে নতুন করে সাজানোর কাজ শেষ করেছি। পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন বলে আমরা আশা করছি।’
বান্দরবান মেঘলা পর্যটন এলাকার ট্যুরিস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুহৃদ চাকমা বলেন, ‘পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা আর সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে আমরা সার্বক্ষণিক কাজ করছি। আশা করছি, এখানে পর্যটকদের কোনও সমস্যা হবে না।’
বান্দরবান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক বলেন, ‘বান্দরবানে দিন দিন পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ছে। এ বাড়তি পর্যটকদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর জন্য আমরা জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা উদ্যোগ নিচ্ছি। পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে আধুনিকায়ন করছি। নতুন নতুন পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এবছর আমরা নতুন পর্যটন কেন্দ্র নীল দিগন্তের উদ্বোধন করেছি। ১০ টাকা মূল্যের টিকিট সংগ্রহ করে পর্যটকরা এখানে দাঁড়িয়ে এর চারপাশে মনোরম সবুজ পাহাড় ছাড়াও অতুলনীয় সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারবেন।’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্রের পর থানচির জীবন নগরে নতুন পর্যটন কেন্দ্র নীল দিগন্ত উদ্বোধন করা হয়েছে।
বান্দরবানে পর্যটক বহনকারী গাড়ির চালক মো. সাইফুল বলেন, ‘শুধু পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে আধুনিকায়ন করলে হবে না। সড়কগুলোও দ্রুত সংস্কার করা দরকার। যদি সংস্কার করা না হয় তবে পর্যটকদের ভোগান্তিতে পড়তে হবে।’
মিজানুর রহমান নামের এক পর্যটক অভিযোগ করে বলেন, ‘পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে এমনভাবে আধুনিকায়ন করা হয়েছে প্রকৃতির কোনও ছোঁয়াই এখানে রাখা হয়নি। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে প্রকৃতির বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া উচিত।’