নিখোঁজের প্রায় দুই মাস পর পাবনার সুজানগর থেকে রবিউল ইসলাম (২২) নামে এক কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে নিহতের বন্ধু মামুন শেখের বাড়ির মেঝে খুঁড়ে রবিউলের গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাবনার পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির পিপিএম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- সুজানগর উপজেলার মানিকহাট ইউনিয়নের উলাট গ্রামের মামুন শেখ, হৃদয়, শাহিন, মমিন ও মিঠু।
নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির জানান, গত ২১ সেপ্টেম্বর ভোরে পরিবারের লোকজন রবিউলকে নিজ ঘরে দেখতে পায় নি। পরে খোঁজ না পেয়ে ২২ সেপ্টেম্বর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন রবিউলের বাবা আব্দুল মালেক। এর মধ্যে মোবাইলে ফোন দিয়ে ও এসএমএস করে রবিউলের পরিবারের কাছে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। টাকা না পেলে রবিউলকে হত্যার হুমকিও দেয় তারা।
এ ঘটনায় ৫ অক্টোবর নিখোঁজ রবিউলের বড় ভাই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে হৃদয় নামের একজনার নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে সুজানগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর বিভিন্ন সময় আসামি হৃদয়সহ চার জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ ও মোবাইল ট্র্যাকিং করে মূল আসামি মামুন শেখকে গত বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে মামুনের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার সকালে মামুনের ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখা রবিউলের গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) গৌতম কুমার বিশ্বাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইবনে মিজান, শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপার সালমা সুলতানা আলম, সুজানগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওবাইদুল হক, তদন্ত অফিসার বেলাল হোসেন, ডিবির এসআই অসিত কুমার উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির আরও বলেন,‘প্রেমঘটিত কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।রবিউলকে প্রথমে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে অচেতন করে তার প্রতিবেশি বন্ধু মামুন শেখ। পরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সে। এরপর ঘরের মেঝেতে ৩ থেকে ৪ ফুট মাটি খুঁড়ে লাশ পুঁতে রাখে।’
এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন- যশোরে নিজ বাড়িতে দিনমজুর খুন