X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে অস্থিরতা বাড়ছে: জিএম কাদের

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
১৯ নভেম্বর ২০১৭, ০৩:৩৯আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০১৭, ০৩:৪৪

বক্তব্য রাখছেন জিএম কাদের

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে। সমাজে এক ধরনের অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে।  একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে আরও বেশি অস্থিরতা বাড়ছে। তিনি বলেন, সরকারের কোষাগার থেকে শিক্ষকদের শতভাগ বেতন দেওয়া হচ্ছে। অবৈতনিক শিক্ষা, উপবৃত্তি ও বইপুস্তক দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার জন্য প্রচুর অর্থ ছাড় করা হচ্ছে। কিন্তু মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।’ 

শনিবার বিকালে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চাপারহাট এলাকায় নাবিল ফারাহ বিদ্যা নিকেতন প্রাঙ্গণে ‘শিক্ষার মান উন্নয়নকল্পে’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

জিএম কাদের বলেন, ‘এক সময় শিক্ষকতা ও চিকিৎসা পেশা ছিল নোবেল প্রফেশন। এখন এই পেশাও ব্যবসাকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। যা মোটেও কাম্য নয়। শুধু শিক্ষা ব্যবস্থা নয়, স্বাধীনতার পর থেকেই নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় সমাজে ছড়িয়ে পড়ায় রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সমাজে এক ধরনের অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে।  একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে আরও বেশি অস্থিরতা বাড়ছে। কোনও বিষয়েই সত্যিকার অর্থে মানুষ নিশ্চিত হতে পারছে না। সামাজিক অবক্ষয়ের একটি চিত্র দেখতে পাচ্ছি। সামাজিক অবক্ষয়ের কারণেই এই সামাজিক অস্থিরতা।’

তিনি বলেন,‘রাজনীতি খারাপ থেকে আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। এটার মূল কারণ কী হতে পারে? মূল কারণ হলো, যে প্রক্রিয়ায় এই সমাজকে নেতৃত্ব দেওয়া হয়-সেটা হলো রাজনৈতিক প্রক্রিয়া। আমরা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্যে কোনও শৃঙ্খলা আনতে পারিনি। আমরা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় বিভিন্নভাবে দিনকে দিন রাজনীতিকে অশান্ত করে তুলছি, দিনকে দিন আমরা অনিশ্চিত করেছি। মানুষকে শঙ্কা থেকে আরও বড় শঙ্কার দিকে ঠেলে নিয়ে গেছি। মানুষ নিশ্চিতভাবে বুঝতে পারছেন না, রাজনৈতিকভাবে সামনের দিনে আমরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো। যখন আপনি এটা বুঝতে পারবেন না। তখনই আপনার প্রশ্ন আসবে যে, আপনি সামাজিকভাবে অস্থির মনে করবেন। আপনার কী হবে জানেন না, সামনের দিকে কী হতে যাচ্ছে জানেন না। আপনার সন্তানদের ভবিষ্যৎ কী হবে জানেন না। তখন মানুষ বিভিন্নভাবে বাঁচার চেষ্টা করে। যেসব মূল্যবোধ নিয়ে সভ্যতা বেঁচে থাকে, সভ্যতা এগিয়ে যায় এবং মানুষ বেঁচে থাকে, সেগুলোকে আমরা অধঃগামী করে ফেলেছি।’

বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট সম্পর্কে জিএম কাদের আরও বলেন, ‘সামনের দিকে নির্বাচনকে ঘিরে মনে হচ্ছে- যেন একটি ঝড় দানা বেঁধে উঠছে। ঝড়টা কী? ঝড়টা হলো- মানুষের মধ্যে শঙ্কা। মানুষের মধ্যে অনিশ্চয়তা। সামনের দিকে কী কী অনিশ্চয়তা? সময় মতো নির্বাচন হবে, নাকি  আগেই হবে? সময় মতো যদি নির্বাচন হয়ও তবে অবাধ ও সুষ্ঠু হবে কিনা? আমি ভোটটা দিতে পারবো কিনা? প্রশ্ন উঠছে সবদল অংশগ্রহণ করবে কিনা? যদি অংশগ্রহণ করে, তাহলে শান্তিপূর্ণভাবে হবে কিনা? নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের দিন ও নির্বাচনের পরে কী হবে? কেউ নিশ্চিতভাবে কিছু জানে না। এরপরও এই অস্থিরতার মধ্যদিয়ে নির্বাচনকে ঘিরে আমরা সামনের এগিয়ে যাচ্ছি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় পার্টির আমলে উত্তরাঞ্চলসহ ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। মঙ্গাপীড়িত উত্তরাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছিল জাতীয় পার্টি। এজন্য নির্বাচন আসলেই জাতীয় পার্টিকে নিয়ে বড় দুই দল টানাটানি করে থাকে। যে জোটের সঙ্গেই জাতীয় পার্টির নির্বাচনি মোর্চা হোক না কেন, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর অঞ্চলের ২২টি আসনের মধ্যে ২১টি আসন জাতীয় পার্টিকে দিতে হবে। নিশ্চিত বিজয়ের লক্ষ্যে প্রার্থী দেওয়া হবে।’

নাবিলা ফারাহ বিদ্যা নিকেতনের প্রধান শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হকের সভাপতিত্বে ‘শিক্ষার মান উন্নয়নকল্পে’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির  যুগ্ম সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও নাবিলা ফারাহ বিদ্যা নিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা রোকন উদ্দিন বাবুল, শামসুদ্দিন-কমরউদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিক, প্রভাষক উমর ফারুক ও কালীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি নাজির হোসেন প্রমুখ।

পরে জিএম কাদের হাতীবান্ধা উপজেলায় জাতীয় পার্টির এক কর্মী সভায় যোগ দেন।
আরও পড়ুন: 

নির্বাচনে যেতে আন্তরিক বিএনপি, তৃণমূলে যোগাযোগ বাড়াতে পরামর্শ খালেদা জিয়ার

 

 

 

 

 

/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
রেসিপি: মসুরের ডাল দিয়ে হাতে মাখা পুঁই শাক
রেসিপি: মসুরের ডাল দিয়ে হাতে মাখা পুঁই শাক
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান পাকিস্তান ও ইরানের
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান পাকিস্তান ও ইরানের
মুক্তিযোদ্ধা চাচাকে হত্যা, ভাতিজার যাবজ্জীবন
মুক্তিযোদ্ধা চাচাকে হত্যা, ভাতিজার যাবজ্জীবন
ডিএনসিসি ও চীনের আনহুই প্রদেশের সহযোগিতামূলক চুক্তি সই
ডিএনসিসি ও চীনের আনহুই প্রদেশের সহযোগিতামূলক চুক্তি সই
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প বাংলাদেশের পর্দায়
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প বাংলাদেশের পর্দায়