চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার তিওরবিলা গ্রামে সন্তানকে গলা টিপে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে মায়ের বিরুদ্ধে। চার মাস আগে নিজ বাড়িতে রিয়াদকে (৯) হত্যা করেন মা জোসনা খাতুন (২৮)। প্রথমে রিয়াদ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে দাবি করলেও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে গলা টিপে হত্যার আলামত পাওয়া গেলে সন্তানকে হত্যার দায় স্বীকার করেন জোসনা খাতুন।
এ ঘটনায় জোসনা খাতুনকে রবিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে আটক করেছে পুলিশ। আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ মো. ফখরুল আলম খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহত রিয়াদ উপজেলার তিওরবিলা গ্রামের সাবান আলীর ছেলে এবং তিওরবিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।
ওসি আবু জিহাদ মো. ফখরুল আলম খান জানান, গত ২২ জুলাই সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রিয়াদ ও তার ছোট ভাই মিরাজ নিজ বাড়িতে মারামারি করছিল। এসময় তাদের মা জোসনা খাতুন ক্ষিপ্ত হয়ে রিয়াদকে চড়-থাপ্পড় মারে এবং একপর্যায়ে গলা টিপে হত্যা করে। পরে রিয়াদ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে– এমন কারণ দেখিয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেন সাবান আলী।
ওসি জানান, হত্যার পরদিন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রিয়াদের লাশের ময়নাতদন্ত হয়। গত ২ নভেম্বর ময়নাতদন্ত রিপোর্ট থানায় এসে পৌঁছায়। এতে রিয়াদকে শ্বাসরোধ করে হত্যার আলামত পাওয়া যায়। এ ঘটনার পর রবিবার দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকরাম হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ তিওরবিলা থেকে বাবা সাবান আলী ও মা জোসনা খাতুনকে আটক করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সেসময় ছেলেকে গলা টিপে হত্যা করার কথা স্বীকার করেন জোসনা খাতুন।
ওসি আরও জানান, রবিবার বিকালে সাবান আলী বাদী হয়ে স্ত্রী জোসনা খাতুনের নামে ছেলে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন। আটক জোসনা খাতুনকে আগামীকাল সোমবার পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।