‘নেশার টাকা’ যোগাড় করতে না পারায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছেলেকে হত্যার পর নিজের মাকেও খুন করেছেন নাটোর সদর উপজেলার কাফুরিয়া ইউনিয়নের দস্তানাবাদ গ্রামের শাহ আলম (৩২)। এ সময় তার অস্ত্রের আঘাতে আহত হন বাবা শাহাদত (৫৫)। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার রাত ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
তবে কিছু গ্রামবাসীর দাবি, জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে শাহ আলমের সঙ্গে বাবা-মায়ের দ্বন্দ্বে চলছিল। এর জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে।
ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন শাহ আলমকে বেঁধে পুলিশে দেয়। নিহতরা হলেন- মা বিলকিস বেগম (৪৫) ও ছেলে আলিফ (১০)। সে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়েল সমাপনী পরীক্ষার্থী।
স্থানীয় গ্রামবাসী আরিফুল ইসলাম জানান, শাহ আলম আগে থেকেই নেশাগ্রস্ত। প্রায়ই সে নেশার টাকা যোগাড় করতে মা-বাবাকে বিরক্ত করতো। রবিবার রাতে নেশার টাকা না দিলে শাহ আলম ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এসময় সে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ছেলে আলিফকে হত্যা করে। এরপর মা বিলকিস বেগম এগিয়ে এলে তার ওপরও ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ চালালে তিনি মারা যান। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে বাবা শাহাদতকেও কুপিয়ে জখম করে শাহ আলম। শাহাদতের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এসময় অন্যান্য লোকজন শাহ আলমকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে।
তবে স্থানীয় কিছু গ্রামবাসী দাবি করেন, শাহ আলম দীর্ঘদিন থেকে পেয়ারা বাগানের ব্যাবসার পাশাপাশি গরুর ডাক্তারি করতো। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্স হওয়ার পর সে দ্বিতীয় বিয়ে করে। কিছুদিন আগে তার বড় সন্তান পানিতে ডুবে মারা যায়। সম্প্রতি বাবা-মায়ের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তার দ্বন্দ্ব চলছিল। এই হত্যাকাণ্ডটি ওই দ্বন্দ্বের জেরেই ঘটে থাকতে পারে।
নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, শাহ আলমকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে বিভিন্ন রকম কথা শোনা যাচ্ছে। তবে তদন্তের পরই হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে বিস্তারিত বলা যাবে।