ঢাকার নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ছাত্র তৌহিদুল ইসলাম ওরফে লিপুকে (২১) অপহরণ ও হত্যার দায়ে দুই জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন কুষ্টিয়ার আদালত। একইসঙ্গে আট জনকে যাবজ্জীবন ও চার জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন আদালত।
বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক এ বি এম মাহমুদুল হক এই রায় দেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- রাকিবুল ইসলাম ওরফে বাপ্পি (২২) ও মো. সুমন (৩৫)। এর মধ্যে সুমন পলাতক। রাকিবুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ফাঁসি ছাড়াও অপহরণ ও গুমের দায়ে সুমনকে যাবজ্জীবন ও সাত বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- শুভ, হৃদয়, আলিফ, সাজেদুল, নয়ন, সজীব, মিনহাজ ও মিলন। সাজাপ্রাপ্ত অন্য আসামিদের মধ্যে আবু সাইদকে ১০ বছর এবং মাহাবুব, রিপন ও সুজনকে তিন বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই হত্যা মামলায় আদালত চারজনকে খালাস দিয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৩১ আগস্ট কুষ্টিয়া শহরের রেনউইক বাঁধ এলাকায় ওয়াহিদুল ইসলামের ছেলে তৌহিদুল ইসলামকে (২১) অপহরণ করা হয়। তৌহিদুল ঢাকার নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির চতুর্থ সেমিস্টারের ছাত্র ছিলেন। এ ঘটনার পর ওয়াহিদুল ইসলাম কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে এটি অপহরণ ও হত্যা মামলা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। এ ঘটনায় মোট ১৮ জনকে আসামি করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। কুষ্টিয়া আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী জানান, এ হত্যাকাণ্ডকে ‘অত্যন্ত রোমহর্ষক’ বলে মন্তব্য করেছেন আদালত।