X
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর পর পালিয়েছেন চিকিৎসক

কুমিল্লা প্রতিনিধি
২২ নভেম্বর ২০১৭, ২২:২৯আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০১৭, ২২:৩৯





কুমিল্লা কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মাধবপুর রয়েল হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২২ নভেম্বর) প্রসূতি সোনিয়া আক্তার (১৯) ও নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। স্বজনদের অভিযোগ ভুল অপারেশনের কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে।

সোনিয়া মাধবপুর ইউনিয়নের কান্দুঘর দক্ষিণপাড়া গ্রামের মো. উজ্জল মিয়ার স্ত্রী। এ ঘটনার পর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পালিয়ে গেছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক।

সিভিল সার্জন ডা. মজিবুর রহমান রাতে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঘটনাটি জেনেছি। আমি ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও থানার ওসিকে হাসপাতালটি পরিদর্শন করতে বলেছি। ঘটনার সত্যতা পেলে হাসপাতালটি সিলগালা করে দিতে বলেছি।’

নিহত সোনিয়ার ভগ্নিপতি আবদুল মান্নান জানান, বুধবার সকালে প্রসব ব্যথা নিয়ে সোনিয়া আক্তারকে রয়েল হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেওয়া হয়। হসপিটালের কর্তব্যরত ডাক্তার এম. শরীফ আহম্মেদ প্রাথমিকভাবে সোনিয়া আক্তারকে আল্ট্রাসনোগ্রাফি ও রক্ত পরীক্ষা দেন। তারপর তিনি রোগীর স্বজনদের জানান, মা ও গর্ভের সন্তান উভয়ই ভালো আছে। তবে স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসব হবে না। অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করাতে হবে। এ কথা বলে ডাক্তার এম শরীফ ও তার সহযোগীরা সোনিয়াকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। প্রায় ঘণ্টাখানেক পর অপারেশন থিয়েটার থেকে ডাক্তার শরীফ এসে সোনিয়ার ভগ্নিপতি আবদুল মান্নানকে একটি নবজাতাক দিয়ে বলেন বচ্চাটি অসুস্থ, তাই কান্না করে না। আপনারা জরুরি ভিত্তিতে নবজাতককে পাশের দেবিদ্বারের একজন শিশু ডাক্তার দেখান। তখন তারা দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নবজাতককে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আবদুল মান্নান জানান, প্রায় ২ ঘণ্টা পর রয়েল হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ডাক্তার শরীফ নিজেই একটি অ্যাম্বুলেন্স ঠিক করে তাদের ফোনের মাধ্যমে জানান, তারা সোনিয়াকে নিয়ে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যাচ্ছেন। তখন তিনিও দেবিদ্বার থেকে উঠে ওই অ্যাম্বুলেন্সে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান। মেডিক্যাল কলেজের কর্তব্যরত ডাক্তার সোনিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় ডাক্তার এম শরীফ আহম্মেদ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। এদিকে সোনিয়া ও তার নবজাতকের মৃত্যুর খবর শুনে এলাকার লোকজন রয়েল হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ভাঙচুর করে। এসময় ডাক্তার,নার্স ও কর্তৃপক্ষ পালিয়ে যায়।

ডাক্তার এম শরীফ আহম্মেদের মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি রিসিভ করেননি।

ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি সৈয়দ আবু মো. শাহজাহান কবির বলেন, ‘সোনিয়া ও নবজাতকের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালে ভাঙচুর হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’

আরও পড়ুন:
গর্ভে সন্তান রেখে সেলাই: তদন্ত প্রতিবেদন জমা

অনিয়মের কারণে কুমিল্লা নগরীর পাঁচটি ক্লিনিক বন্ধ

 

/এনআই/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বিএসএমএমইউ’র দায়িত্ব নিয়ে যা বললেন নতুন ভিসি
বিএসএমএমইউ’র দায়িত্ব নিয়ে যা বললেন নতুন ভিসি
বাজেটে শিক্ষা খাতে ১৫ শতাংশ বরাদ্দের দাবি
বাজেটে শিক্ষা খাতে ১৫ শতাংশ বরাদ্দের দাবি
ডিএনসিসির কাওরান বাজার আঞ্চলিক অফিস যাচ্ছে মোহাম্মদপুরে
ডিএনসিসির কাওরান বাজার আঞ্চলিক অফিস যাচ্ছে মোহাম্মদপুরে
ভাতা বাড়ানোর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
ভাতা বাড়ানোর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
সর্বাধিক পঠিত
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
এবার চীনে আগ্রহ বিএনপির
এবার চীনে আগ্রহ বিএনপির
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
রাজধানীর ৫ জায়গায় তরমুজ বিক্রি হবে কৃষকের দামে
রাজধানীর ৫ জায়গায় তরমুজ বিক্রি হবে কৃষকের দামে