লক্ষ্মীপুরে আপিলে খালাস পেলেন ভ্রাম্যমাণ আদালতে তিন মাসের দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন শরীফ।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বিকাল তিনটার দিকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আপিলের পর বিচারক ইকবাল হোসেন তা মঞ্জুর করে ডা. সালাহ উদ্দিনকে খালাসের রায় দেন।
সালাহ উদ্দিনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাসেল মাহমুদ মান্না এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
খালাস পাওয়ার পর ডা. সালাহ উদ্দিন শরীফ তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। আদালতের রায়ে আমি সন্তুষ্ট।’ তাকে অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়া হয়েছিল জানিয়ে মানসিক ও সামাজিকভাবে তিনি ও তার পরিবার বিপর্যস্ত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, সোমবার (৪ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসন পরিচালিত শহরের কাকলি স্কুলের প্রবেশ পথে আগে- পরে যাওয়াকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মুর্শিদুল ইসলাম ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. সালাহ উদ্দিন শরীফের মধ্যে সংঘটিত হাতাহাতির জেরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সালাহ উদ্দিনকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এ ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আপিলের পর বিচারক মীর শওকত হোসেন পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় ওই চিকিৎসকের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
এদিকে, ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজার বিষয়টি নিয়ে একটি রিট আবেদনের পর এডিসি শেখ মুর্শিদুল ইসলাম ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরজ্জামানকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
এছাড়া, মঙ্গলবার এডিসি শেখ মুর্শিদুল ইসলামকে ওএসডি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) হিসেবে পদায়ন করা হয়।
আরও পড়ুন:
- আমাকে হয়রানি করতে মোবাইল কোর্ট বসানো হয়: ডা. সালাহ উদ্দিন
- লক্ষ্মীপুরের সেই এডিসি ওএসডি
- চিকিৎসককে জেল: লক্ষ্মীপুরের সেই এডিসি এবং ম্যাজিস্ট্রেটকে হাইকোর্টে তলব
- ২৪ ঘণ্টা পর জামিনে মুক্ত লক্ষ্মীপুরের সাবেক সিভিল সার্জন
- এডিসি’র সঙ্গে ‘অসদাচরণ’, সাবেক সিভিল সার্জনকে কারাদণ্ড
- ভ্রাম্যমাণ আদালতের অপব্যবহার!