X
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

পূর্ণতা পায়নি ‘গল্লামারী স্মৃতিসৌধ’ প্রকল্প

খুলনা প্রতিনিধি
১৫ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৮:০৯আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৮:০৯

 

পূর্ণতা পায়নি ‘গল্লামারী স্মৃতিসৌধ’ প্রকল্প খুলনার বদ্ধভূমি ‘গল্লামারী স্মৃতিসৌধ’ প্রকল্প আট বছরেও পূর্ণতা পায়নি। মূল স্তম্ভ নির্মিত হলেও বাকি কাজের কোনও অগ্রগতি নেই। অর্থ পেতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েও সাড়া পায়নি খুলনা জেলা পরিষদ।

খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ বলেন, ‘২ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়ে আরও ১৬ লাখ ২৭ হাজার ৪৯৪ টাকা যোগ করে মূল স্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। নকশা অনুযায়ী বাকি কাজ সম্পন্ন করতে আরও ৯ কোটি টাকা প্রয়োজন। এ অর্থ পেলে সৌধটির পূর্ণতা দেওয়া সম্ভব হবে।’

স্থানীয় বাসিন্দা আলম শেখ বলেন, সীমানা প্রাচীর না থাকায় স্মৃতিসৌধ চত্বরে অনাকাঙ্ক্ষিত লোকজনের পদচারণা, গবাদী পশু চলাচল ও মাদকসেবীদের আড্ডায় সৌধের পরিবেশ ও পরিচ্ছন্নতা নষ্ট হচ্ছে।

জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, খুলনায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবহুল গল্লামারীতে স্বাধীনতা স্মৃতিসৌধ নির্মাণে একটি প্রকল্প ২০০৯ সালে গ্রহণ করা হয়। স্মৃতিসৌধটি নির্মাণে ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ১১ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় রয়েছে মূল স্তম্ভ নির্মাণ, স্বাধীনতাসৌধ অ্যাপ্রোচ সড়ক এবং পার্কিং ইয়ার্ড, সীমানা প্রাচীরসহ ফটক ও গার্ড/ওয়েটিং রুম ও রেস্টুরেন্ট এবং ম্যুরাল দিয়ে গেট নির্মাণ, বৃক্ষরোপণ ও ফুলের বাগান তৈরি, চত্বরে পানির ফোয়ারা স্থাপন, বৈদ্যুতিকরণ ইত্যাদি। এর মধ্যে মূল স্তম্ভ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ১৬ লাখ ২৭ হাজার টাকা।

প্রকল্পটি অনুমোদনের পর মূল স্তম্ভ নির্মাণে ২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। অর্থ বরাদ্দের পর স্তম্ভ নির্মাণে দুই দফা দরপত্র আহ্বান করে জেলা পরিষদ। ২০০৯ সালের ২৩ জুন কাজটি পায় খুলনার আজাদ-ইলোরা জেভি প্রতিষ্ঠান। ২০০৯ সালের ১৫ নভেম্বর কার্যাদেশ পেয়ে মূল স্তম্ভ নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০১০ সালের অক্টোবর মাসে। এরপর স্মৃতিসৌধের পূর্ণতা দিতে ২০১১ সালের মার্চে স্থানীয় সরকার বিভাগে বাকি ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ পেতে চিঠি পাঠায় জেলা পরিষদ। সর্বশেষ অর্থ বরাদ্দ চেয়ে চলতি বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার বিভাগে চিঠি এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে অনুলিপি পাঠায় জেলা পরিষদ। কিন্তু এ বিষয়ে আর কোনও অগ্রগতি হয়নি।

উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসক কাজী রিয়াজুল হক ও পুলিশ সুপার আওলাদ হোসেনের উদ্যোগে গল্লামারীর এ স্থানে অস্থায়ী স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়। ১৯৯৫ সালের ২৬ মার্চ স্মৃতিসৌধের পরিকল্পনাকারী রিয়াজুল হক বিজয় মঞ্চের উদ্বোধন করেন।

/এআর /
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ চাইলেন রাষ্ট্রপতি
বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ চাইলেন রাষ্ট্রপতি
মুগদায় উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত করলেন হাইকোর্ট
মুগদায় উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত করলেন হাইকোর্ট
তাপপ্রবাহে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ৮ নির্দেশনা
তাপপ্রবাহে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ৮ নির্দেশনা
কাঁচা আম দিয়ে টক ডাল রান্না করবেন যেভাবে
কাঁচা আম দিয়ে টক ডাল রান্না করবেন যেভাবে
সর্বাধিক পঠিত
রাজকুমার: নাম নিয়ে নায়িকার ক্ষোভ!
রাজকুমার: নাম নিয়ে নায়িকার ক্ষোভ!
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
সাবেক আইজিপি বেনজীরের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে দুদকের কমিটি
সাবেক আইজিপি বেনজীরের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে দুদকের কমিটি
অতিরিক্ত সচিব হলেন ১২৭ কর্মকর্তা
অতিরিক্ত সচিব হলেন ১২৭ কর্মকর্তা