X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে স্বাধীন দেশের পতাকা ওড়ে বিজয়ের দুই দিন পর

রাজশাহী প্রতিনিধি
১৮ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৭:১৫আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৭:২৪

রাবির বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ (ছবি- অনলাইন থেকে নেওয়া)

১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নাগপাশ মুক্ত হয় বাংলার মাটি। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে পঞ্চান্ন হাজার বর্গমাইলের এই দেশে উদিত হয় নতুন সূর্য, স্বাধীনতার। ৪৬ বছর আগের এ দিনটিতে দেশের প্রায় সব জেলার মানুষই আনন্দ মিছিল করেন। মিছিলে হাজারো মানুষ কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে গগনবিদারী আওয়াজ তোলেন, ‘জয় বাংলা’। কিন্তু এ দিনটিতে এমন আনন্দ-উল্লাসের সুযোগ পাননি রাজশাহীর মানুষ। কারণ, তখনও শত্রুমুক্ত হয়নি এই জেলা।

১৬ ডিসেম্বর দেশজুড়ে মুক্তির আনন্দ ছড়িয়ে পড়লেও রাজশাহীবাসীর মনে ছিল উৎকণ্ঠা, ছিল ভীতি। কারণ এই এলাকাকে শত্রুমুক্ত করতে তখনও লড়াই করছেন দিনাজপুর জেলার দক্ষিণাঞ্চল, বৃহত্তর রাজশাহী, পাবনা ও বগুড়া জেলা নিয়ে গঠিত হওয়া ৭নং সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধারা। তাদের জীবন বাজি রেখে গড়ে তোলা প্রতিরোধ ও আক্রমণে শেষমেশ ১৭ ডিসেম্বর মুক্ত হয় রাজশাহী। তবে ১৮ ডিসেম্বর এ অঞ্চলকে শক্রুমুক্ত ঘোষণা করা হয়। জেলা মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

মুক্তিযোদ্ধা তৈয়বুর রহমান বলেন, ‘১২ ডিসেম্বর বড় ধরনের যুদ্ধ হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে। এ যুদ্ধে অল্পের জন্য বেঁচে যাই আমি। যে তাঁবুতে আমি ছিলাম, তার পাশে পাকিস্তানি সেনারা মর্টারশেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। তার আগেই আমি ওই তাঁবু থেকে সরে যাই। রাজরামপুর হাইস্কুলে আমরা ডিফেন্স নিই। তখন মিত্রবাহিনী আমাদের সঙ্গে ছিল। পাকিস্তানি সেনারা মর্টারশেল নিক্ষেপ করে। আর আমরা পিছু হটি। পরে রাজরামপুর হাইস্কুল থেকে গোদাগাড়ী উপজেলার হরিপুর নামক স্থানে এসে আমরা ডিফেন্স নিই। পরের দিন সকালে আমরা ফায়ার করতে শুরু করলে পাকিস্তানি আর্মিরা চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে পিছু হটতে থাকে। ১৭ ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে পালায় শত্রু সেনারা। এ দিন সন্ধ্যায় রাজশাহী বেতারে আসি আমরা। তবে ১৮ ডিসেম্বর রাজশাহীকে মুক্ত ঘোষণা করি। ৭নং সেক্টারের সাব-সেক্টর ৪ এর তৎকালীন কমান্ডার মেজর গিয়াস উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী রাজশাহীকে মুক্ত ঘোষণা করেন। তবে এ সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন লে. কর্নেল কাজী নুরুজ্জামান।’

এর আগের ঘটনা প্রবাহের বর্ণনা দিতে গিয়ে তৈয়বুর রহমান বলেন, ‘২৫ মার্চ আমরা (মুক্তিযোদ্ধারা) রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে প্রতিরোধ গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিই। ২৭ মার্চ গোদাগাড়ীতে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদস্যরা (ইপিআর) বিদ্রোহ করে। গোদাগাড়ীতে বিভিন্ন জায়গা থেকে পাকিস্তানি আর্মিদের ধরে এক জায়গায় জড়ো করা হয়। এর মধ্যে থেকে কয়েকজন পালিয়ে ভারতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে। ২৮ মার্চ তৎকালীন ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দিন গোদাগাড়ীতে আসেন। ইপিআরের নেতৃত্বে আমরা গোদাগাড়ীর মহিশালবাড়ীতে প্রতিরোধ গড়ে তুলি। গোদাগাড়ী থেকে পাঞ্জাবদের হটিয়ে আমরা রাইপাড়া বাগানে প্রতিরোধ গড়ে তুলি। এরপর আমরা সবাই মিলে রাজশাহী সেনানিবাস অবরুদ্ধ করি। ১২ মার্চ পর্যন্ত সেনানিবাস অবরুদ্ধ করে রেখেছিলাম।’

মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী বরজাহান বলেন, ‘১৩ এপ্রিল ঢাকা থেকে পাঞ্জাব রেজিমেন্টের একটি শক্তিশালী দল ভারী অস্ত্রশস্ত্র ও সাঁজোয়া যানসহ স্থলপথে ঢাকা থেকে রাজশাহী আসে। পথে তাদের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেন বাংলাদেশি রেজিমেন্টের পুলিশ সদস্য ও জনতারা। তারা সবচেয়ে বড় প্রতিরোধের সম্মুখীন হয় বিড়ালদহ লোহারপুর ও বেলপুকুর রেলগেট এলাকায়। কিন্তু ভারী অস্ত্রশস্ত্রের কারণে বাংলাদেশি সৈন্যরা যুদ্ধে বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি। পাকিস্তানি আর্মিরা রাজশাহী ঢুকেই তালাইমারীতে ১২১ জনকে গুলি করে হত্যা করে। এর আগে রাজশাহী আসার পথে তারা রাস্তার দুই পাশের গ্রামকে পর গ্রাম আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়। রাজশাহীতেও তারা আগুন দিয়ে বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়, বড় বড় ব্যবসায়ীদের দোকানপাটে লুটপাট করে, নারী ধর্ষণ ও মানুষ হত্যা করে। একরাতেই পুরো রাজশাহী শহর ফাঁকা হয়ে যায়।’

মুক্তিযুদ্ধের সময় ২৩ বছরের যুবক ছিলেন কেএমএম ইয়াছিন আলী মোল্লা। এই মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘২৩ মার্চ রাজশাহীর কানপাড়ায় সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠন করি, যা ১৪ এপ্রিল বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রাম পরিষদে রূপান্তরিত হয়। এর জেনারেল অর্গানাইজেশন সেক্রেটারি (জিওসি) ছিলাম আমি। সর্বদলীয় মুক্তি সংগ্রাম পরিষদের আহ্বানে ক্যাপ্টেন গিয়াসউদ্দিনের নেতৃত্বে ২৭ মার্চ ছাত্র-শিক্ষক-জনতা-আনসার-ইপিআর-মুজাহিদ সবাই মিলে অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে প্রথম সেনানিবাস আক্রমণ করি। এ প্রতিরোধ ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ছিল। ঢাকা থেকে আসা পাকিস্তানি বাহিনী সদস্যরা পুরো রাজশাহীর দখল নিয়ে নিলে আমরা ভারতে চলে যাই। ২৪ এপ্রিল ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার নন্দীভিটার কাজীপাড়া অপারেশন ক্যাম্পে (এম এফ গ্রুপ) আমি অবস্থান নিই। আমি যেহেতু মুজাহিদের সদস্য ছিলাম, তাই আর নতুন করে আমাকে কোনও প্রশিক্ষণ নিতে হয়নি। ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের সময় আমি প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। সেখান থেকে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করি। এছাড়া বেশ কয়েকবার সরাসরি সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ করি।’

অনেকবার অপারেশনে সরাসরি অংশ নিলেও একটি অপারেশনের কথা খুব মনে পড়ে মুক্তিযোদ্ধা কেএমএম ইয়াছিন আলী মোল্লার। তিনি বলেন, ‘আগস্ট মাসের শেষদিকে প্রায় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে হাট গোদাগাড়ীতে অবস্থিত পাক বাহিনীর ক্যাম্পে অপারেশন চালাই। এ যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর পাঁচ সদস্য মারা যায়। বাকিরা পালিয়ে বাঁচে। সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর –এই তিন মাস রাজাকার-আলবদরা যে কী ভয়াবহ অত্যাচার ও নির্যাতন চালিয়েছে, তা কখনও ভোলার নয়। তারা যদি সহযোগিতা না করত তাহলে পাকিস্তানি বাহিনী এতো ব্যাপকভাবে নৃশংসতা চালাতে পারতো না।’

‘মুক্তিযুদ্ধে রাজশাহী’ বই থেকে জানা যায়, ৩ মার্চ ইয়াহিয়া সরকার রাজশাহীতে সন্ধ্যা আইন জারি করায় সরকারিভাবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ১২ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্রাবাস ত্যাগ করতে বলা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়টির তৎকালীন উপাচার্য প্রতিবাদ করলে সরকার তাকে অপসরণ করে। ২৫ মার্চ রাতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নৈশ-প্রহরী আবদুর রাজ্জাককে পাকিস্তানি বাহিনী হত্যা করে। রাজশাহীতে মুক্তিযুদ্ধে প্রথম শহীদ রাজ্জাক। রাজ্জাকের পর মেজর আসলামের নেতৃত্বে ২৫ পাঞ্জাব ব্যাটেলিয়ন রাজশাহীতে অবস্থান নিয়ে অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা এমএনএ নজমূল হক সরকার, শহর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ হাফিজ সাত্তার, অ্যাডভোকেট বীরেন সরকার, বঙ্গবন্ধুর বন্ধু আবদুস সালামের দুই ছেলে সেলিমউজ্জামান ও ওয়াসিমউজ্জামানকে হত্যা করে। এছাড়া বিভিন্ন সময় বীমা কর্মকর্তা আলতাফসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষকে হত্যা করা হয়।

মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাবের সর্যোদয় স্মরণীকা থেকে জানা গেছে, পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতা করে রাজশাহী অঞ্চলের পিস কমিটির চেয়ারম্যান আয়েন উদ্দিনসহ আরও অনেক রাজাকার।

মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন শেখ ভুলু বলেন, ‘আমি ছিলাম আর্মড ফোর্সেস ব্যাটালিয়ানের নায়েক। সরদহ পুলিশ একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। ঢাকায় ২৬ মার্চের আক্রমণের পর রাজশাহীতে প্রথম আক্রমণ হয় ২৮ মার্চ। ওইদিন আমি জেলখানার দায়িত্বে ছিলাম। জেলখানার গেট থেকে পাকিস্তানি আর্মিদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়েছিলাম। পরে পাকিস্তানি আর্মিরা সকাল ৯টার দিকে গুলিবর্ষণ করতে করতে জেলখানায় প্রবেশ করে। আমাদের ওপর বেয়নেট চার্জ করে। ওখান থেকে আমাদের ২৫ জনকে ডাকবাংলোয় (বর্তমানে পুলিশ কমিশনারের অফিস) নিয়ে গিয়ে একটি ঘরে বন্দি করে রাখে। বিকালে তারা পুলিশ লাইনে আক্রমণ করে ১৯ জনকে হত্যা করে। পরদিন সকালে ওই লাশ তুলতে গিয়ে পালিয়ে যাই। পরে বাংলাদেশি পুলিশ ও সাধারণ জনগণ পুলিশ লাইনে আক্রমণ চালিয়ে অস্ত্রাগার দখল করে নেয়।’

আলাউদ্দিন শেখ ভুলু আরও বলেন, ‘আমাদের কাজ ছিল সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে যুবকদের নিয়ে এসে প্রশিক্ষণ দেওয়া। মুক্তিবাহিনী গঠিত হওয়ার পর আমরা সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। রাজশাহীর বাঘা, দুর্গাপুর, চারঘাট, পুঠিয়া, পাবনার ঈশ্বরদীর বিভিন্ন এলাকায় আমরা অপারেশন চালিয়েছে। আমি ছিলাম ১৬ বেঙ্গলের বি কোম্পানিতে।’

‘মুক্তিযুদ্ধে রাজশাহী’ বই থেকে আরও জানা গেছে, ২৭ মার্চ পাকিস্তানি সেনারা পুলিশ লাইনের দখল নেওয়ার চেষ্টা করে। বাংলাদেশি পুলিশ সদস্যদের আত্মসমর্পণের জন্য বলা হয়। কিন্তু তারা আত্মসমর্পণ করেনি। এতে তারা তৎকালীন পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের বাংলাদেশি এসপি আবদুল মজিদ ও ডিআইজি শহীদ মামুন মাহমুদকে সেনানিবাসে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। বর্তমান রেডিও সেন্টারের কাছ থেকে পাকিস্তানি সেনারা ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশ লাইনে গুলি বর্ষণ করে। এতে ৭০-৮০ জনের মতো পুলিশের সদস্য মারা যান। এর আগে ২৬ মার্চ আওয়ামী লীগ নেতা বয়তুল্লাহ ও আবদুল জলিলের নেতৃত্বে রাজশাহীতে মুক্তিবাহিনী গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে ইপিআর, আনসার, ছাত্র, পুলিশ ও জনতা মিলে প্রায় একহাজার সৈন্য চারঘাট উপজেলার সারদা হয়ে ২ এপ্রিলের মধ্যে রাজশাহী শহরের উপকণ্ঠে সমবেত হন। পরিকল্পনা মোতাবেক ৬ এপ্রিল সন্ধ্যা ছয়টায় মুক্তিবাহিনীর প্রবল বেগে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ওপর আক্রমণ করে। এতে পাকিস্তানি সেনারা দিশেহারা হয়ে পড়ে। চার ঘণ্টাব্যাপী যুদ্ধের শেষে রাজশাহী উপ-শহরে সামরিক ছাউনিতে অবস্থান নেয় পাকিস্তানি সেনারা। মুক্তিবাহিনী রাজশাহী দখল করে সামরিক ছাউনিতে অবস্থান নেওয়া পাকিস্তানি সেনাদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। শত্রুসেনারা আত্মসমর্পণ করলে রাজশাহীর মানুষ বিজয় উল্লাসে ফেটে পড়েন।

১০ এপ্রিল পাকিস্তানি বাহিনীর একটি বড় দল স্থলপথে রাজিশাহী পৌঁছে এখানকার বেসামরিক অবাঙালিদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়। ১২ এপ্রিল তারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান নিয়ে আবাসিক হল, ক্লাব ও অতিথি ভবন দখল করে নেয়। তাদের আক্রমণে ১৪ এপ্রিল থেকে মুক্তিবাহিনী বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ২১ এপ্রিল পাকিস্তানি সেনারা নবাবগঞ্জ দল করে নেন।

২২ আগস্ট রাজশাহী জেলার চারঘাট থানা এলাকায় পাকিস্তানি ঘাঁটি মীরগঞ্জ বিওপি আক্রমণ করে মুক্তিবাহিনী পিছু হটাতে বাধ্য হয়। তবে পাকিস্তানি সেনাদের ওপর মুক্তিবাহিনীর আঘাত অব্যাহত থাকে। ১৪ অক্টোবর পাকিস্তানি বাহিনী ও রাজাকারদের সঙ্গে সংঘর্ষে পাকিস্তানি মেজরসহ ৩০ শত্রুসেনা নিহত হয়। ২৭ নভেম্বর ক্যাপ্টেন গিয়াসের নির্দেশে মুক্তিবাহিনীর ৫টি কোম্পানি পাকিস্তানিদের ঘাঁটি পোড়াগ্রাম আক্রমণ করে। ব্যাপক সংঘর্ষে পাকিস্তানি সেনারা শেষপর্যন্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জে আশ্রয় নেয়। ১০ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী নবাবগঞ্জ দখলে নেওয়া পাকিস্তানি সেনাদের ওপর ব্যাপক হামলা চালায়। এখানে এক সংঘর্ষে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ হন বীরশ্রেষ্ঠ কাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর। ১৫ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী রাজশাহীতে প্রবেশ করলে পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। তবে তখনও পুরো রাজশাহী শত্রুমুক্ত হয়নি। মুক্তিবাহিনী, মিত্রবাহিনী ও গেরিলা যোদ্ধাদের ক্রমাগত আক্রমণে ১৭ ডিসেম্বর রাজশাহী শহর শত্রুমুক্ত হয়।

 

/এমএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে করারোপ: আইনের বিশ্লেষণ
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে করারোপ: আইনের বিশ্লেষণ
ইউক্রেনের মার্কিন সামরিক সহায়তা আইনে স্বাক্ষর বাইডেনের
ইউক্রেনের মার্কিন সামরিক সহায়তা আইনে স্বাক্ষর বাইডেনের
নামাজ শেষে মোনাজাতে বৃষ্টির জন্য মুসল্লিদের অঝোরে কান্না
নামাজ শেষে মোনাজাতে বৃষ্টির জন্য মুসল্লিদের অঝোরে কান্না
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগে বৃষ্টির আভাস
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগে বৃষ্টির আভাস
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা