রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী ও দলের নেতাকর্মীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন,‘বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা যাতে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে না পারে সেজন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয় দেখাচ্ছে শাসকদল আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা।’
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেছেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘একদিকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে, অন্যদিকে শাসকদল ও তাদের জোটের প্রার্থীরা নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণা চালাচ্ছেন। কিন্তু প্রশাসন সম্পূর্ণ নির্বিকার।’ নির্বাচনের দিন যতোই ঘনিয়ে আসছে, হুমকি-ধামকি ততই বাড়ছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন,‘মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে জনগণকে হুমকি দিচ্ছেন। আপনার উদ্দেশ্য জনগণের কাছে পরিষ্কার। দেশে আবারও একটি ভোটারবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত করাই আপনার উদ্দেশ্য। কিন্তু এদেশের জনগণ সেটি বাস্তবায়িত হতে দেবে না। জনগণ তাদের সর্বশক্তি দিয়ে ভোটারবিহীন নির্বাচনের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে প্রস্তুত।’
রিজভী আরও বলেন, ‘গতকাল প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন। যারা সৃষ্টি করে, দেশের প্রতি তাদের মায়া থাকে। প্রশ্ন হচ্ছে বিপদের সময় জনগণকে ফেলে যারা পালিয়ে যায়, যারা শত্রু বাহিনীর নিরাপত্তার মধ্যে বসবাস করে, দেশের প্রতি তাদের মায়া থাকে কিনা সেটাও প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট করে বলা উচিৎ ছিল।’
এসময় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে রিজভী বলেন, ‘আপনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছেন জিয়াউর রহমানের কারণেই। স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের বিষয়ে আওয়ামী লীগের ব্যর্থতার কারণেই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বিএনপি’র বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর এতো ক্ষোভ।’
বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শিক্ষামন্ত্রী প্রশ্নফাঁসের কেলেঙ্কারি অন্যদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার জন্যই মিথ্যাচার করেছেন। কারণ, ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে যারা আটক হয়েছে, তারা সবাই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মী।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের মন্দিরে হামলার ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে জোর করে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন রুহুল কবির রিজভী।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, মীর সরাফত আলী সপু, আব্দুস সালাম আজাদ,আমিরুল ইসলাম আলীম, মুনির হোসেন, সাইফুল ইসলাম পটু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।