X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে প্রতিদিনই রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারে হস্তান্তর করা হচ্ছে

বান্দরবান প্রতিনিধি
১৮ জানুয়ারি ২০১৮, ১৯:৩৫আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০১৮, ২০:০৫

বান্দরবান  বান্দরবান থেকে রোহিঙ্গাদের দ্বিতীয় দফায় কক্সবাজারে হস্তান্তরের পক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন। গত ১৪ জানুয়ারি জাতিসংঘ উদ্বাস্ত হাইকমিশনারের উপসচিব সামশুদ্দোহা ও ইউনেক্সোর প্রতিনিধি মো. রেজাউল করিমের উপস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের স্থানাস্তর শুরু হয়। নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের শাপমারা ঝিড়ি থেকে ৬টি গাড়িতে করে প্রথম পর্যায়ে ৪৬টি রোহিঙ্গা পরিবারের ১৯৯ জনকে কক্সবাজারের বালুখালীতে হস্তান্তর করা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫ জানুয়ারি ৫০টি পরিবারের ২০৯ জনকে, তৃতীয় পর্যায়ে ১৬ জানুয়ারি ১৪৭টি পরিবারের ৬১০ জনকে ও পঞ্চম পর্যায়ে ১৭ জানুয়ারি ১৪৩টি পরিবারের ৬২৫ জনকে হস্তান্তর করা হয়।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ১৬ হাজার ১৬০ জন এবং নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের ৯ হাজার ৩২৬ জন ও ঘুমধুমের কোনা পাড়ায় ৬ হাজার ৮৩৪ জন রোহিঙ্গা রয়েছে। গত ২০ অক্টোবর ’১৭ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে আশ্রয় নেওয়া ২৮ হাজার ১৬০ জন রোহিঙ্গার মধ্যে প্রথম দফায় বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ১২ হাজার রোহিঙ্গাকে কক্সবাজারের কুতুপালং ও বালুখালীতে হস্তান্তর করা হয়। আবাসস্থল ঠিক না হওয়ায় কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবারও ১৪ জানুয়ারি ’১৮ থেকে রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারে হস্তান্তর শুরু করেছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন।

বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ির দু’টি পয়েন্টে এখনো অবস্থানরত ১৪ হাজার ৫শ’ ১৭ জন রোহিঙ্গার জন্য ১ হাজার ২২০ কেজি চাল, ৭ বস্তা ডাল, ১৪ কেজি লবন, ৫০০ পিস শীতবস্ত্র, ১ হাজার ২০০ লিটার তেল, ৩৭ পিস টয়লেট সামগ্রী, ৬০০ পিস কম্বল, ৫১ বস্তা পুরাতন কাপড়, ৩২০ পিস কুরআন শরীফ, ২০ পিস জায়নামাজ, ৫০০ পিস লুঙ্গি, ৩০০টি কায়দা, ২১ কেজি চিঁড়া ও ২ কার্টুন ফিডার মজুদ আছে বলে  জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

এ ব্যাপারে নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের মফিজুর রহমান জানান, প্রশাসন দ্বিতীয় দফায় হস্তান্তর কাজ শুরু করেছে। এটি একটি ভাল উদ্যোগ। কারণ ক্যাম্পগুলো অত্যন্ত দুর্গম এলাকায় হওয়ায় রোহিঙ্গারা সব সুবিধা পাচ্ছিল না। সেখানে মোবাইল নেটওর্য়াকও নেই, তাই কোনও ঘটনা ঘটলে তা জানা যায় না। তাই তাদের সরিয়ে নিয়ে জেলা প্রশাসন অনেক ভালো কাজ করেছে।

এ ব্যাপারে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল বলেন, ‘প্রতিদিনই রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারে কুতুপালং ও বালুখালীতে হস্তান্তর করা হচ্ছে। আমরা এসব কাজে প্রশাসনকে সহযোগিতা করছি। আশা করছি খুব শিগগিরই সদরে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ করতে পারব।’

 এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক বলেন, ‘প্রতিদিনই রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে একদিনে তো বেশি লোক নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই একদিনে যতজনকে নেওয়া যাচ্ছে, তত জনকেই নেওয়া হয়েছে ।

তিনি আরও বলেন, ‘এখনও নাইক্ষ্যংছড়ির দু’টি পয়েন্টে ১৪ হাজার ৫১৭ জন রোহিঙ্গা রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে অল্প সময়ের মধ্যেই সব রোহিঙ্গাকে হস্তাস্তর করা সম্ভব হবে।’ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ প্রক্রিয়াটি চলমান থাকবে। 

 আরও পড়ুন: রিট করেছে বিএনপি, দোষ চাপাচ্ছে আ.লীগের ওপর: ওবায়দুল কাদের

 

/জেবি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
পণ্ড হলো না পরাগের শ্রম, দিল্লিকে হারালো রাজস্থান
পণ্ড হলো না পরাগের শ্রম, দিল্লিকে হারালো রাজস্থান
বাসের পেছনের অংশ খোয়া যাচ্ছে কেন?
বাসের পেছনের অংশ খোয়া যাচ্ছে কেন?
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!
মন্ত্রীর অপেক্ষায় তরমুজ বিক্রিতে দেরি, ক্ষুব্ধ ক্রেতারা
মন্ত্রীর অপেক্ষায় তরমুজ বিক্রিতে দেরি, ক্ষুব্ধ ক্রেতারা