X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

এক কর্মকর্তার কারণে মোংলা বন্দরে আটকে আছে কয়েক লাখ ঘনফুট বালু

আবুল হাসান, মোংলা
২১ জানুয়ারি ২০১৮, ০৭:৪৯আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০১৮, ১২:২৪

মোংলা বন্দর

একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কারণে গত একমাস থেকে মোংলা বন্দরে আটকে আছে কয়েক লাখ ঘনফুট বালু। বন্দর এলাকার কাস্টমস অফিস বাউন্ডারির উত্তর পাশে সেনা কল্যাণ সংস্থার ড্রেজিং করা এ বালু সরাতে নিয়মিত হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বন্দর কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত রাজস্ব ২৫ দিন আগে জমা দেওয়া হলেও সম্পত্তি শাখার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কারণে এখন পর্যন্ত বালু সরাতে পারছেন না তারা। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বালু ড্রেজিং ব্যবসায়ী অশোক কুমার রায় বলেন,‘অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার জন্য বন্দরের সম্পত্তি শাখা এ কৌশল অবলম্বন করছেন। এ জন্য ব্যবসায়ীদের অনেক হয়রানি হতে হয়েছে।’

তবে বন্দরের সম্পত্তি শাখা ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন,‘অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়টি সত্য নয়, বন্দরের জায়গা থেকে বালু ড্রেজিং করে নিতে বোর্ড সভার সিদ্ধান্তে নিষেধাজ্ঞা আছে। তাই ড্রেজিং করে বালু নিতে অনুমোদন দেওয়া যাচ্ছে না।’

এ ব্যাপারে বন্দর কর্তৃপক্ষের বোর্ড ও গণসংযোগ বিভাগের প্রধান ও সচিব ওহিউদ্দিন চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ড্রেজিং করে বন্দরের স্তূপ করা বালু নেওয়া যাবে না―এরকম কোনও সিদ্ধান্ত বোর্ড সভায় হয়নি।’ গত ৯ মাস ধরে এসব বালু ঘনফুটের হিসেবে ড্রেজিং সিস্টেমের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সম্পত্তি শাখা ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদের বক্তব্যের ব্যাপারে তিনি বলেন,‘কালাম সাহেব নতুন মানুষ। হয়তো তিনি জানেন না। না বুঝে করছেন এসব।’

সচিব ওহিউদ্দিন চৌধুরী আরও জানান, ‘সর্বশেষ ২০১১ সালের ২০৭ তম বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী- এক টন বালু ১০ হাজার টাকা, পাঁচ টন বালু পাঁচশ’ টাকা, তিন টন বালু চারশ’ টাকা, এক ট্রলি বালু একশ’ টাকা এবং প্রতি ঘনফুট বালু তিন টাকা ৪০ পয়সা করে নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ট্রাকে করে এবং ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বালু নেওয়া যাবে।

এ ব্যাপারে মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ী এইচ এম দুলাল বলেন,‘বন্দরের অনেক কর্মকর্তা রয়েছেন টাকা ছাড়া কিছুই বোঝেন না, বর্তমানে এ বন্দর অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে বিদেশিরা এ বন্দর ব্যবহারে ঝুঁকছেন, বন্দর লাভবান হচ্ছে এতে।’ কিন্তু অসাধু কর্মকর্তার ফাঁদে পড়ে সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হলে বন্দরের সুনাম নষ্ট হবে বলেও জানান তিনি।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা (সিও) কমান্ডার এফ এম আনোয়ারুল করিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বোর্ড সভার সিদ্ধান্তকে কেউ ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা দিলে সাধারণ মানুষ বিড়ম্বনার শিকার হয়। ওই সিদ্ধান্তই প্রশ্নবিদ্ধ হয়। তাই কোনও ব্যাপারে ভালো করে জেনে কথা বলা উচিত কর্মকর্তাদের।’

আরও পড়ুন:

চাষীদের ধরে রাখতে মোবারকগঞ্জ চিনিকলে বাড়ানো হচ্ছে আখের দাম

 

 

/এএইচ/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
পার্বত্য অঞ্চলে অদৃশ্য শক্তি বলে কোনও কথা নেই: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী
পার্বত্য অঞ্চলে অদৃশ্য শক্তি বলে কোনও কথা নেই: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নারী কর্মচারীর অকস্মাৎ মৃত্যু, অভিযোগ সচিবের দিকে!
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নারী কর্মচারীর অকস্মাৎ মৃত্যু, অভিযোগ সচিবের দিকে!
উত্তরাসহ দেশের চার পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান
উত্তরাসহ দেশের চার পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান
রনির ব্যাটে প্রাইম ব্যাংককে হারালো মোহামেডান
রনির ব্যাটে প্রাইম ব্যাংককে হারালো মোহামেডান
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা