রাজধানীর নাখালপাড়ায় ১২ জানুয়ারি র্যাবের অভিযানে নিহত ‘জঙ্গি' রবিন ৭ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ আরও জানায়, ছোট ভাই নিখোঁজের ঘটনায় শনিবার (২০ জানুয়ারি) রবিনের বড় ভাই গোলাম মোস্তফা শেরপুরের নকলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেন।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, শেরপুরের নকলা পৌর এলাকার কুর্শাবাদাগৈড় গ্রামের মৃত ফজর উদ্দিনের ছেলে রবিন ৭ জানুয়ারি বাড়ি থেকে হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয়।
এই প্রসঙ্গে নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী বলেন, ‘জিডিতে গোলাম মোস্তফা উল্লেখ করেন, তাদের তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে রবিন সবার ছোট। রবিন তার চালের দোকানে ব্যবসা দেখাশোনা করতো। ৭ জানুয়ারি থেকে রবিনের কোনও খোঁজ মিলছে না।’
তিনি আরও জানান, ১৮ জানুয়ারি র্যাব নাখালপাড়ায় নিহত দুই ‘জঙ্গি’র ছবি প্রকাশ করে। পরদিন এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে রবিনকে শনাক্ত করেন তার পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে, রবিবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় র্যাবের সদর দফতর থেকে বলা হয়, রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ মর্গে লাশ দেখে রবিনকে শনাক্ত করেছেন তার বড় ভাই গোলাম মোস্তফা।
গত ১২ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম নাখালপাড়ার একটি ভবনের ‘জঙ্গি আস্তানা’য় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে তিন ‘জঙ্গি’ নিহত হয়। র্যাব জানায়, তারা সবাই ছিল জেএমবির সদস্য। এর আগে দুই জনের পরিচয় পায় র্যাব। তাদের একজন কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নের বাদুয়ারা গ্রামের মেজবাহ উদ্দিন। অন্যজন চট্টগ্রাম মহানগরীর চট্টগ্রাম কলেজের পূর্ব গেট সংলগ্ন ইউনূস বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলার নাফিস উল ইসলাম। গত বছরের ৬ অক্টোবর বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় নাফিস। তখন তার বাবা নজরুল ইসলাম চকবাজার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
র্যাবের দাবি, সরকারি স্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলার জন্যই ঢাকায় আস্তানা গেড়েছিল এই ‘জঙ্গিরা’। র্যাব-৩ এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. এমরানুল হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তারা মূলত সরকারি স্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার পরিকল্পনা করেছিল। এজন্য তারা সংগঠিত হয়েছিল।’