X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

অবশেষে বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলা হচ্ছে

বগুড়া প্রতিনিধি
২২ জানুয়ারি ২০১৮, ১৯:৩৬আপডেট : ২২ জানুয়ারি ২০১৮, ১৯:৩৮

পোড়াদহ মেলাকে সামনে রেখে রাস্তা সংস্কারের কাজ করা হচ্ছে বগুড়ার গাবতলীতে জমির অভাবে ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ (সন্ন্যাসী) মেলা বন্ধের আশঙ্কা দেখা দিলেও শেষ পর্যন্ত মেলা হচ্ছে। ২০০ বছর ধরে মহিষাবান ইউনিয়নের গাড়িদহ নদীর তীরে পোড়াদহ এলাকায় মাঘের শেষ বা ফাল্গুনের প্রথম বুধবার মেলা হলেও টোলবঞ্চিত শত বিঘা জমির মালিকরা এবার তাদের জমিতে ধান চাষ করেছেন। তাই এবার রাস্তার পূর্বপাশে মেলার আয়োজন চলছে। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য মেলাকে সামনে রেখে রাস্তা সংস্কারসহ ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে।

মহিষাবান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এবার রাস্তার পূর্ব পাশে ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলা হবে।মেলায় যেন কোনও ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড না ঘটে সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পাকা রাস্তার পূর্ব পাশে মেলার স্থানে মাছবহন ও মালামাল নিয়ে গাড়ি ঢোকার রাস্তা করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

গাবতলীর মহিষাবান মণ্ডলপাড়ার জাহিদুল ইসলাম রিপন জানান, তাদের পরিবারের শতাধিক বিঘা জমিতে ২০০ বছর ধরে ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলা চলে আসছে। আগে ২২ জন মালিক থাকলেও এখন অর্ধশত হয়েছে। ১৯৫৯ সালে মালিকরা মেলার টোল পেতে সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করে রায় পান। রায় অনুসারে বাদীরা (জমির মালিক) টোল আদায় করবে এবং সরকার জমিগুলো কাউকে লিজ দিতে পারবে না।

রিপন ছাড়াও জমির মালিক সাইফুল ইসলাম, আবদুস সামাদ, মোয়াজ্জেম হোসেন, হেদায়াতুল্লাহ, ফজলুল বারীসহ অনেকেই জানান, প্রতি বছর মাঘের শেষ বা ফাল্গুনের প্রথম বুধবার ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলা হয়ে থাকে। মেলার স্বার্থে তারা ওই শতাধিক বিঘা জমিতে চাষাবাদ থেকে বিরত থাকেন। আদালতের রায় থাকা সত্ত্বেও তারা টোল আদায় করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। গত বছর মহিষাবান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম তাদের এক টাকাও টোল আদায় বা জমির বিনিময়ে তাদের কোনও টাকা দেননি। এছাড়া মেলা করার জন্য তাদের লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। তাই এবার সব মালিক ওইসব জমি মেলার জন্য ফেলে না রেখে সেখানে ইরি-বোরো ধান রোপণ করতে শুরু করেছেন।

এদিকে মেলা সম্পর্কে এলাকাবাসী জানান, একদিনের পোড়াদহ মেলায় নদী ও সমুদ্রের বড় বড় মাছ, মিষ্টান্ন, আসবাবপত্র ও কাপড়চোপড় ছাড়াও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনাবেচা হয়। মেলায় সার্কাস, নাগরদোলা, পুতুলনাচ, কার-বাইক রেসিংসহ বিভিন্ন বিনোদনের আয়োজন থাকে। শত শত মানুষ এদিন মেলায় কেনাকাটা করেন। মেলাকে কেন্দ্র করে আশপাশের গ্রামগুলোর প্রতিটি বাড়িতে মেয়ে, জামাই, নাতি-নাতনি ও স্বজনদের দাওয়াত করা হয়। তাদের শীতের পিঠাপুলি ছাড়াও মেলার বড় বড় মাছ ও মিষ্টান্ন দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। এছাড়া এ মেলাকে ঘিরে ব্যবসায়ীদের মোটা অঙ্কের ব্যবসা হয়ে থাকে।

/এআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ইউক্রেনের শান্তি পরিকল্পনা অর্থহীন: ল্যাভরভ
ইউক্রেনের শান্তি পরিকল্পনা অর্থহীন: ল্যাভরভ
বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা চাইলেন ওবায়দুল কাদের
বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা চাইলেন ওবায়দুল কাদের
৭ বছর পর নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি
৭ বছর পর নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি
‘ভারতের কঠোর অবস্থানের কারণেই পিটার হাস গা ঢাকা দিয়েছেন’
‘ভারতের কঠোর অবস্থানের কারণেই পিটার হাস গা ঢাকা দিয়েছেন’
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়