সিলেটে বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংর্ঘষে নিহত সুনামগঞ্জের চার মুসল্লির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বিকেলে কাঠইর ইউনিয়নে গোলগাঁও গ্রামে জানাজা শেষে তাদের নিজ নিজ গ্রামের গোরস্থানে দাফন করা হয় বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
মুসুল্লিদের নিহতের ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রবিবার দুপুর ১টায় দিকে একের পর এক লাশবাহী গাড়ি সদর উপজেলার কাঠইর এলাকায় পৌঁছালে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারনা হয়। শেষ বারের মতো দেখতে নিহতদের বাড়িতে শত শত মানুষ ভীড় করে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানায়।
নিহত আবু বক্করের বড় ভাই নোয়াগাঁও গ্রামের জয়নালম আবেদীন বলেন, ‘তার ভাই কাঠইর ইউনিয়ন তাবলীগ জামায়াতের আমির ছিলেন। তার নেতৃত্বে এলাকার মুসুল্লিরা টঙ্গীর দ্বিতীয় দফা বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত শেষে রবিবার বাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন। সিলেট সড়ক দুর্ঘটনায় তিনিসহ চারজন মারা যান। আবু বক্কর তিন সন্তানের জনক ছিলেন।’
নুরপুর গ্রামের আলম বাদশা বলেন, ‘বাসটি ৩০ জন যাত্রী নিয়ে সুনামগঞ্জে আসছিল। ভোরে কুয়াশা বেশি থাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় পড়ে তারা মারা যান।’
চান্দেরনগর গ্রামের মো. লোকমান হোসেন বলেন, ‘এঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ট্রাক ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে কাঠইর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের একজন ইউপি সদস্য মারা যান।’
বিশিষ্ট মাওলানা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বাসের যাত্রীরা সবাই ইজতেমার আখেরি মোনাতাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। সড়ক দুর্ঘটনায় তারা মারা যান। নিহতরা সবাই ধর্মপ্রাণ মুসুল্লি ছিলেন।’
শাখাইতি গ্রামের নয়ন তালুকদার বলেন,‘আজ আসর এর আজানের পর গোলগাও গ্রামে চারজনের জানাজার শেষে তাদের নিজ নিজ গ্রামের গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
রবিবার ভোরে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার সাত মাইল এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে আবু বক্কর (৪৫) , আব্দুল জফুর (৫২) আকবর আলী (৪৭) ও কাঠাইর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুল খালেক (৩৮) নিহত হন। তারা গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমায় যোগদান শেষে রিজার্ভ বাসে করে সুনামগঞ্জে ফিরছিলেন।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় দশটি চোরাই গরুসহ আটক দুই, পুলিশের গুলিতে আহত ১