ময়মনসিংহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয় থেকে দুই রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে ভুয়া নাম ঠিকানা ব্যবহার করে পাসপোর্টের আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় তাদের আটক করা হয়। ময়মনসিংহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের পুলিশ ব্যারাকের ইনচার্জ এএসআই মো. রাসেল মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা হলেন, রাজিয়া বেগম ও মোস্তাক আহমেদ। এটা তাদের ছদ্মনাম বলে সন্দেহ করেছে পুলিশ।
এএসআই মো.রাসেল মিয়া জানান, আটক রাজিয়া বেগম ও মোস্তাক আহমেদ চাচা ভাতিজীর পরিচয়ে পাসপোর্টের আবেদন ফরম পূরণ করে কাউন্টারে জমা দেন। আবেদন ফরমে এবং জন্ম নিবন্ধন সনদে রাজিয়া বেগম পিতা আলী আকবর, গ্রাম-নুরপুর, ডাকঘর সরারচর, উপজেলা বাজিতপুর, জেলা কিশোরগঞ্জ ব্যবহার করেছে। কিন্তু তার কথা শুনে কাউন্টারে কর্তব্যরত কর্মচারীর সন্দেহ হয়। তিনি বিষয়টি সিনিয়র সহকারী পরিচালককে জানালে তাদের আটক করে পুলিশ ব্যারাকে রাখা হয়। পরে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ এসে তাদের থানায় নিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী তার বাড়ি কক্সবাজারে এবং মোস্তাক আহমেদ তার বাড়ি কক্সবাজারের রামু থানায় বলে জানিয়েছে।
ময়মনসিংহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক নুরুল হুদা জানান, পাসপোর্টের আবেদন জমা দেওয়ার সময় কথাবার্তায় এবং আচরণে সন্দেহ হলে তাদের নিজ জেলায় ফেরত পাঠানো হয়। বাবা-মার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের আবেদন জমা নেওয়া হয়। আটক রাজিয়া ও মোস্তাক আহমেদের কথা বার্তা এবং আচার-আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে জানা যায় তারা মিয়ানমারের নাগরিক। তারা প্রতারণার মাধ্যমে পাসপোর্ট করার চেষ্টা করেছিল। রোহিঙ্গা নাগরিকরা প্রতারণার মাধ্যমে পাসপোর্টের চেষ্টা চালাচ্ছে এবং দেশের বিভিন্ন পাসপোর্ট কার্যালয়ে ধরা পড়েছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মাহমুদুল ইসলাম জানান, রোহিঙ্গা নাগরিক সন্দেহে রাজিয়া বেগম ও মোস্তাক আহমেদ নামে দুই জনকে আটক করে পাসপোর্ট কার্যালয় থেকে থানায় পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোনায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে পরীক্ষার্থী কারাগারে