ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের স্টাফসহ বহিরাগতদের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের ১০ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে নার্সিং ইনস্টিটিউটের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে বিক্ষোভ করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) তাদের ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ সখিনা বেগম অবসরে যান। শনিবার সকালে মুন্সীগঞ্জ থেকে নতুন অধ্যক্ষ মো. সালাউদ্দিন যোগদান করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটে আসেন। এসময় শিক্ষার্থীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোর জন্য ইনস্টিটিউটের সামনে অবস্থান নেন। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই বহিরাগতরা এসে তাদের ফুলের সাজিসহ সব কিছু ছুড়ে ফেলে দেয়। এলোপাতাড়ি মারধর করে হামলা চালায়। এতে ইনস্টিটিউটের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হালিমা আক্তার, মাহমুদা আক্তার, মিতা ও আকলিমাসহ ১০ শিক্ষার্থী আহত হয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ একটি চক্র হাসপাতালের নার্সি ইনস্টিটিউটকে জিম্মি করে রেখেছে। তারা নতুন অধ্যক্ষের যোগদান চাননি বলে এই পরিকল্পিত হামলা করিয়েছে।
অভিযোগের প্রসঙ্গে জানতে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. শফিকুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. রানা নুর শামস জানান, বৃহস্পতিবার থেকে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. শফিকুল ইসলাম ছুটিতে রয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. নবীর হোসেন জানান, আমরা নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি জানান, খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় শিক্ষার্থীরা হামলার ঘটনার বিচারের দাবিতে মিছিল নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় অবস্থান নেয়।
নার্সিং ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত ইনস্ট্রাক্টর ফেরদৌসি আক্তার জানান, মেয়েদের ওপর হামলা হয়ে থাকলে তিনি বিচার চাইবেন।