নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিকমানে উন্নীতকরণ কার্যক্রম শুরুর খবরে বিমানবন্দরের দক্ষিণ অংশে রাতারাতি ঘরবাড়ি নির্মাণ ও বৃক্ষ রোপণ শুরু করেছেন জমির মালিকরা। রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিমানবন্দর এলাকায় গিয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়।
কিছু জমির মালিক আবাদি ও পরিত্যক্ত জমিতে সালটি ইট ও নামমাত্র সিমেন্ট দিয়ে ঘর নিমার্ণ করছেন। কেউ টিনের ছাউনি ও টিনের বেড়া দিয়ে ঘর নির্মাণ করে রেখেছেন। এছাড়া অনেক জমিতে বৃক্ষ রোপণের হিড়িক লেগেছে। বিমানবন্দর সম্প্রসারণ হতে যাচ্ছে শুনে ক্ষতিপূরণ বাবদ বেশি টাকা পাওয়ার আশায় এ কাজ করছেন জমির মালিকরা।
জানা যায়, ওই এলাকার কয়েকজন দাদন ব্যবসায়ী জমির মালিকদের কাছ থেকে কয়েক বছরের চুক্তিতে জমি নিয়ে এ ঘর নির্মাণ ও বৃক্ষ রোপণ করছে। জমির মালিকদের চেয়ে বেশি টাকার আশায় তারা এ কাজ করছে। এলাকার কয়েকজন দাদন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলেও সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তারা মুখ খুলেননি।
তবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দর আধুনিকায়নের ঘোষণার পর বিমানবন্দরের আশপাশের জায়গাগুলোর ভিডিও দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে। ওই ফুটেজ দেখে জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ম্যানেজার শাহীন আলম বলেন, ‘আঞ্চলিক বিমানবন্দর ঘোষণার পর জমি অধিগ্রহণের জন্য বিমানবন্দরের আশপাশে এলাকায় সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ মিলে দুটি টিম সার্ভে করে। ওই সার্ভে দেখে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
বর্তমানে যেসব ঘর নির্মাণ ও বৃক্ষ রোপণ করা হচ্ছে এগুলো করে কোনও লাভ হবে না।’ তিনি বিমানবন্দরের উন্নয়নের স্বার্থে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।