সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ শিগগিরই চালু হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। আন্তঃনগর উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের ১১টি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় ক্ষতির মাত্রা বেশি এবং উদ্ধার কাজে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন তারা।
বাংলাদেশ রেলওয়ের সিলেট অঞ্চলের বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মুজিবুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ট্রেন কখন চালু হবে এখন বলা যাবে না। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আছেন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খুব বেশি। তবে উদ্ধারকাজ চলছে।’
ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ট্রেনের একটা আন্ডারগিয়ার ভেঙে পড়ার কারণে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে যায়।’
শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার সাখায়াত হোসেন বলেন, ‘ট্রেন চালু কখন হবে এখনও নিশ্চিত নয়। তবে সময় লাগবে।’
সিলেট থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের ১১টি বগি মৌলভীবাজারের সাতগাঁও রেলস্টেশন এলাকায় লাইনচ্যুত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ১২টা ৫০ মিনিটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। মাত্র ১০ মিনিট আগে ১২টা ৪০ মিনিটে ট্রেনটি শ্রীমঙ্গল স্টেশন ছেড়ে যায়। দুর্ঘটনার পর সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোবাশশেরুল ইসলাম জানান, ‘ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় ট্রেনটির কয়েকশ’ যাত্রী দুর্ভোগে পড়েছেন। ট্রেনটিতে অর্থপ্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানও ছিলেন। অর্থ প্রতিমন্ত্রীর পিএস মুঠোফোনে বিষয়টি রাত ১টা ৩৫ মিনিটে আমাকে জানান। আমি সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অর্থ প্রতিমন্ত্রীকে একটি প্রাইভেট গাড়িতে করে হবিগঞ্জ জেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাহুবলে এলাকায় পুলিশ স্কটে পৌঁছে দেই। সেখান থেকে উনার নিজস্ব গাড়িতে করে সড়ক পথে তিনি ঢাকায় চলে গেছেন।’
শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার শাখাওয়াত হোসেন জানান, ট্রেনের ১১টি বগি লাইনচ্যুত হলেও ইঞ্জিনসহ তিনটি বগি অক্ষত রয়েছে।
আরও পড়ুন- মৌলভীবাজারে ট্রেনের ১১ বগি লাইনচ্যুত, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন