এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। সোমবার (৫ মার্চ) বিকালে এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) স্বপন চন্দ্র সরকার।
পুলিশ ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, কেন্দুয়া উপজেলা যুবলীগ নেতা রিপন চৌধুরী ও তার কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আপেল মাহমুদ ও তার কর্মী-সমর্থকদের বিরূপ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এই দুই গ্রুপের মধ্যে বৈরিতা চলে আসছে। সোমবার দুপুরে আপেল মাহমুদের সমর্থক কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী রফিক কলেজে তার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় রিপন চৌধুরীর সমর্থক তফাজ্জল ও তার সমর্থকরা তাদের মারধর করেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে আপেল মাহমুদের সমর্থকরা একত্রিত হয়ে ঘণ্টাখানেক পর তফাজ্জলকে মারধর করেন।
এ ঘটনা নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে রিপন চৌধুরীর সমর্থকরা ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সরকারি খাদ্য গুদামসংলগ্ন আপেল মাহমুদের চেম্বারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ সময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত নয়। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত সিরাজুল ইসলাম, লাখ মিয়া ও রনিকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
কেন্দুয়া থানার ওসি (তদন্ত) স্বপন চন্দ্র সরকার বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখন পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি এবং এ ঘটনায় কাউকে আটকও করা যায়নি। কোনও অভিযোগ পেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন-
৫০ কেজি নাকি ৪০ কেজি?
পা বেঁধে উল্টো করে ঝুলিয়ে নির্যাতন: চারজনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ২
