X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

একরাম হত্যা মামলায় ৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড

ফেনী প্রতিনিধি
১৩ মার্চ ২০১৮, ১৫:২০আপডেট : ১৩ মার্চ ২০১৮, ১৯:২৫

একরাম হত্যা মামলায় ৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একরামুল হক একরাম হত্যা মামলার রায়ে ৩৯ জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) বিকাল সোয়া ৩টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আমিনুল হক এই রায় দেন। জেলা আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) হাফেজ আহম্মেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে আছেন আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আদেল, ফুলগাজী উপজেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদ চৌধুরী। এই মামলার ১ নম্বর আসামি জেলা তাঁতী দলের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী মিনারসহ ১৬ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
খালাসপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন জেলা যুবলীগের নেতা জিয়াউল আলম মিস্টার, কাজীরবাগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান রউপ, আনন্দপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের হাজী বেলায়েত হোসেন পাটোয়ারী (টুপি বেলাল), ছাত্রলীগ যুবলীগ নেতা ও কমী পবন, রিপন, ইকবাল হোসেন, শরিফুল জামিল পলাশ (পলাতক), কালামিয়া, ইউনুছ ভূঁঞা শামীম (পলাতক), আলমগীর, কাদের, ফারুক, জাহিদ হোসেন ভূঁঞা, মো. মাসুদ ও শাখাওয়াত হোসেন।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন একরামের স্ত্রী তাসমীন। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, এই রায় দ্রুত কার্যকর হোক।’ একই চাওয়া একরামের ভাই মামলার বাদী জসিম উদ্দিনের। তিনি এদিন আদালতে ছিলেন না।
নিম্ন আদালতের এই রায় উচ্চ আদালতেও বহাল থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন জেলা আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) হাফেজ আহম্মেদ। এই রায় ‘মানুষের আতঙ্ক ও অসহায়ত্ব’ দূর করতে ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য তার।

রায় ঘোষণার আগে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ৩৬ আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে নেওয়া হয়। এই মামলার চার্জশিটভুক্ত ৫৬ জনের মধ্যে ২০ আসামি পলাতক রয়েছে। তাদের মধ্যে ১১ জন প্রথম থেকেই পলাতক। বাকি ৯ জন আদালত থেকে জামিন নেওয়ার পর পলাতক আছেন। এছাড়া র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে আসামি সোহেল ওরফে রুটি সোহেল।

২০১৪ সালের ২০ মে ফেনী শহরের একাডেমি এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একরামুল হককে কুপিয়ে, গুলি চালিয়ে গাড়িসহ পুড়িয়ে হত্যা করে আসামিরা।

এ ঘটনায় একরামুল হকের ভাই রেজাউল হক জসিম বাদী হয়ে বিএনপি নেতা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ওরফে মিনারসহ অজ্ঞাত ৩০-৩৫ জনকে আসামি করে ফেনী সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট ৫৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। হত্যার প্রায় দুই বছর পর ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু করেন আদালত।
গত ২৮ জানুয়ারি এই মামলার যুক্তিতর্ক শুরু হয়। ৫৯ জন সাক্ষীর মধ্যে বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ এ পর্যন্ত ৫০ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।


আরও পড়ুন- যে নৃশংস কায়দায় হত্যা করা হয়েছিল একরামকে

/জেবি/জেএইচ/চেক-এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা