X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

আদালতের পর্যবেক্ষণ: একরাম হত্যার নেপথ্যে রাজনৈতিক আধিপত্য ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব

রফিকুল ইসলাম, ফেনী
১৩ মার্চ ২০১৮, ২২:৩৩আপডেট : ১৩ মার্চ ২০১৮, ২২:৪২

একরামের পুড়ে যাওয়া গাড়ি (ফাইল ছবি) রাজনৈতিক আধিপত্যকে একচ্ছত্র করতে ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জের ধরেই ফেনীতে একরাম হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল বলে মন্তব্য করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) বিকালে প্রায় চার বছর আগের আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণার সময় পর্যবেক্ষণে এ কথা বলেন ফেনী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আমিনুল হক।
২০১৪ সালের ২০ মে ফেনী শহরের একাডেমি সড়কের বিলাসী হলের সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় ফুলগাজী উপজেলার চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি একরামুল হক একরামকে (৪৫)। হত্যার পর গাড়িতে আগুন দিয়ে তার মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়। হত্যাকাণ্ডের প্রায় চার বছর পর এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণা হলো।
রাষ্টপক্ষের আইনজীবীর সহযোগী অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিচারক মো. আমিনুল হক আদালতে রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন। বিচারক বলেন, একরাম হত্যাকাণ্ডে কোনও প্রত্যক্ষ সাক্ষী পাওয়া যায়নি। তারা আদালতে দাঁড়িয়ে সাক্ষ্য দিতে ভয় পেয়েছে, প্রাণনাশের শঙ্কায় ভুগেছে। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ড প্রকাশ্য দিবালোকে সংঘটিত হয়েছে। রাজনৈতিক ক্ষমতার লড়াই ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব এবং রাজনৈতিক ক্ষমতাকে একচ্ছত্র করার আধিপত্য থেকে এই নৃশংস ও পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।’
অ্যাডভোকেট নাসির বলেন, ‘একরাম হত্যার রায় দেওয়ার সময় বিচারক তার পর্যবেক্ষণে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছেন। এ রায়ের মধ্য দিয়ে খুনীদের কাছে, যারা অপরাজনীতি করে তাদের কাছে এ বার্তা পৌঁছে গেছে— খুনিদের কোনও রেহাই নেই।’
একরাম হত্যার রায় ঘোষণার সময় এজলাসে প্রবেশ সীমাবদ্ধ থাকায় গণমাধ্যমকর্মীরা সরাসরি রায় ও রায়ের পর্যবেক্ষণ শুনতে পাননি। পরে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে এসব বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেছে।
জেলা আদালতের পিপি হাফেজ আহম্মেদ জানান, একরামুল হক একরাম হত্যা মামলার রায়ে ৩৯ জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্তদের মধ্যে আছেন আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আদেল, ফুলগাজী উপজেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদ চৌধুরী ফেনী পৌরসভার তৎকালীন পাঁচ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল্লাহ হিল মাহমুদ শিবলু।
মামলার প্রধান আসামি জেলা তাঁতী দলের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী মিনারসহ ১৬ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-
একরাম হত্যা মামলায় ৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড
একরাম হত্যা মামলার ২০ আসামিই পলাতক
যে নৃশংস কায়দায় হত্যা করা হয়েছিল একরামকে
একরাম হত্যা মামলা: প্রধান আসামি মিনার খালাস, ৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড

/টিআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
আগুন নেভাতে 'দেরি করে আসায়' ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে 'দেরি করে আসায়' ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
শেষ দিকে বৃথা গেলো চেষ্টা, ৪ রানে হেরেছে পাকিস্তান 
শেষ দিকে বৃথা গেলো চেষ্টা, ৪ রানে হেরেছে পাকিস্তান 
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা