X
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

রোটেশন বন্ধ করে প্রতিদিন ৮ লঞ্চ চলাচলের নির্দেশ মানছেন না লঞ্চ মালিকরা

আহাদ চৌধুরী তুহিন, ভোলা
১৯ মার্চ ২০১৮, ১৭:৩০আপডেট : ১৯ মার্চ ২০১৮, ১৭:৩৫

ভোলা-ঢাকা রুটের লঞ্চ ভোলা-ঢাকা রুটে লঞ্চ রোটেশন বন্ধ করে  প্রতিদিন আটটি লঞ্চ চলাচলের যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, লঞ্চ মালিকরা তা মানছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১৮ মার্চ) ভোলা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান নির্দেশ দেন, ভোলা খেয়াঘাট থেকে  চারটি এবং ঢাকা সদরঘাট থেকে চারটি করে এই রুটে মোট আটটি লঞ্চ চলাচল করবে। তবে লঞ্চ মালিকরা তা মানছেন ন।

বিআইডব্লিউটিএ’র ভোলার কর্মকর্তা মো. নাসিম সোমবার (১৯ মার্চ) বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, আদালতের আদেশের খবর লঞ্চ মালিকরাও জানেন। তারপরও ঘাট কর্মকর্তা হিসেবে তিনি লঞ্চ মালিকদের প্রতিদিন ভোলা খেয়াঘাট থেকে চারটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছাড়ার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু মালিকরা তার কথা শুনছেন না।

তবে মালিকদের দাবি, তারা এখনও আদালতের আদেশের কপি হাতে পাননি। এমভি কর্নফুলি-৪ লঞ্চের পরিচালক জসিমউদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আদেশ পেলে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো।’

এই কর্মকর্তা আরও জানান, ভোলা-ঢাকা ও ঢাকা- ভোলা রুটে এমভি কর্নফুলি-৪, ৯, ১০, ১১, এমভি ভোলা, এমভি ক্রিস্টাল ক্রুজ, এমভি গ্লোরী অব শ্রীনগর-৭ ও এমভি বালিয়া এই আটটি লঞ্চ চলাচলের অনুমতি রয়েছে। প্রতিদিন এই আটটি লঞ্চ চলাচলের কথা থাকলেও লঞ্চ মালিক কর্তৃপক্ষ সিন্ডিকেট করে প্রতিদিন চারটি লঞ্চ চলাচল করাছে। এতে  ভোলাবাসী লঞ্চ মালিকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন। ভোলা থেকে ঢাকা হয়ে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে লঞ্চ। বর্তমানে ভোলা-ঢাকা রুটে ৮টি লঞ্চের পরিবর্তে চারটি লঞ্চ চলাচল করায় এ রুটে প্রতিনিয়ত যাত্রীরা হয়রানির শিকার হচ্ছের। এমনকি এই জেলায় অসুস্থ রোগীরও লঞ্চে যাতায়াতের জন্য কেবিন না পেয়ে হয়রানি ও ভোগান্তিতে পড়ছেন। অতিরিক্ত ভাড়াও আদায় করা হচ্ছে।

অভিযোগ রয়েছে, একটি কেবিনের জন্য যাত্রীদের বহু দেনদরবার ও তদবির করতে হয়। এ বিষয়টি জেলায় ওপেন সিক্রেট হলেও কেউ কোনও প্রতিকারের উদ্যোগ নেননি। রোটেশন পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে সচেতন নাগরিক সমাজ ও যাত্রীদের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ী রুহুল আমিন কুট্টি গত ২১ নভেম্বর বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় বাদী-বিবাদী পক্ষের বক্তব্য শুনে রবিবার (১৮ মার্চ) ভোলা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামন ভোলা-ঢাকা রুটে লঞ্চ রোটেশন বন্ধ করে  প্রতিদিন ভোলা খেয়াঘাট থেকে  চারটি এবং ঢাকা সদর ঘাট থেকে চারটি করে এই রুটে মোট আটটি লঞ্চ চলাচলের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বাদী রুহুল আমিন কুট্টি বলেন, আদালতের আদেশে ভোলাবাসী আনন্দিত। এই আদেশ মেনে লঞ্চ চলাচলে আমাদের চাই কষ্ট-লাঘব হবে এবং ভোগান্তি কমবে বলে আমরা আশা করি।  

 

/এফএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
উত্তর কোরিয়া সফর করলেন রুশ গোয়েন্দা প্রধান
উত্তর কোরিয়া সফর করলেন রুশ গোয়েন্দা প্রধান
ঈদে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে চলবে ১৫ ফেরি, ২০ লঞ্চ
ঈদে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে চলবে ১৫ ফেরি, ২০ লঞ্চ
ট্রলারের ইঞ্জিন বিস্ফোরণে চার জন অগ্নিদগ্ধ
ট্রলারের ইঞ্জিন বিস্ফোরণে চার জন অগ্নিদগ্ধ
প্রিয় দশ
প্রিয় দশ
সর্বাধিক পঠিত
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
এবার চীনে আগ্রহ বিএনপির
এবার চীনে আগ্রহ বিএনপির
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
রাজধানীর ৫ জায়গায় তরমুজ বিক্রি হবে কৃষকের দামে
রাজধানীর ৫ জায়গায় তরমুজ বিক্রি হবে কৃষকের দামে